প্রতীকী ছবি
করোনা সংক্রমিতদের উপরে নজরদারি চালাতে ‘আয়ুষ’ চিকিৎসকদের কাজে লাগাতে শুরু করেছে জেলার স্বাস্থ্য দফতর। এত দিন সেফ হোমগুলিতে সর্বক্ষণের জন্য থাকতেন এএনএম কর্মীরা। দিনে দু’বার রাউন্ডে যেতেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের মেডিক্যাল অফিসারেরা। এ বার সেফ হোমগুলিতে ইউনানি, সিদ্ধা, হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের দায়িত্ব দেওয়া শুরু হয়েছে। তাঁদের হোমে থেকেই ডিউটি করতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই মত ‘ডিউটি রস্টার’ও তৈরি করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলছেন।
নদিয়ায় এখন আটটি সেফ হোম আছে। সরকারি হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর, জরুরি বিভাগ, ফিভার ক্লিনিক এবং আইসোলেশন ওয়ার্ড সামলে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকেরা হিমশিম খাচ্ছেন। এর পরেও দু’বেলা সেফ হোমে তাঁরা রাউন্ডে যাচ্ছেন বটে, কিন্তু তাতে আবাসিকদের ঠিক মতো দেখভাল যে হচ্ছে না, তা টের পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এএনএম-দের পক্ষে সম্ভব নয়। তার জন্য চিকিৎৎসকের প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই ‘রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম’ কর্মসূচির আওতায় ‘আয়ুষ’ চিকিৎসকদের সেফ হোমগুলিতে ডিউটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মেডিক্যাল অফিসারেরা যেমন দু’বেলা রাউন্ডে যাচ্ছিলেন, তেমনই যাবেন। কারও অবস্থা খারাপ হলে চলে আসবেন। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন ‘আয়ুষ’ চিকিৎসকরা।
প্রতিটি ব্লকে ‘রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম’ কর্মসূচির আওতায় তিন জন করে চিকিৎসক আছেন। তাঁরা এত দিন সমীক্ষা থেকে শুরু করে স্ক্রিনিং এমনকি লালারস সংগ্রহের কাজও করেছেন। কিন্তু সম্পুর্ণ ভিন্ন ধারার চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাঁরা কি নিজেদের কাজটা ঠিক ভাবে করে উঠতে পারবেন?
জেলার কর্তাদের দাবি, এ ক্ষেত্রে তাঁদের প্রধান দায়িত্ব হল সেফ হোমে থাকা সংক্রমিতদের কারও উপসর্গ দেখা দিল কি না, হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেন কি না, সেটা দেখা। সে সব ক্ষেত্রে তাঁরা সেই সেফ হোমের নোডাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। প্রয়োজনে হোমে মেডিক্যাল অফিসার পাঠানো হবে বা রোগীকে কোভিড হাসপাতালে স্থানানতরিত করা হবে।
এই প্রাথমিক দায়িত্ব পালনের জন্য ‘আয়ুষ’ চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে সরকারি নির্দেশিকা মেনে। অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।