Coronavirus in West Bengal

২৪ ঘণ্টায় করোনা ছুঁল ২৩ জনকে

সোমবারের আক্রান্তদের নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৬৫৭ জন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কান্দি শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২০ ০২:০৭
Share:

সামাজিক দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না করেই রঘুনাথগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সোমবার রাতে জেলায় ২৩ জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কান্দি শহরের একই পরিবারের পাঁচ জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। অন্য দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরাক্কার এক প্রৌঢ়ের মঙ্গলবার সকালের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতেই তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর রিপোর্ট এখনও আসেনি।

Advertisement

সোমবারের ২৩ জন আক্রান্তের মধ্যে জঙ্গিপুরের তিন জন পুলিশ কর্মী ও কান্দির একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং এক জন সাংবাদিক রয়েছেন। সোমবারের আক্রান্তদের নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৬৫৭ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭জনের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসমুর্শিদাবাদের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘সোমবার রাতে জেলায় ২৩ জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথগঞ্জ-১ ও ২ব্লক ও জঙ্গিপুর পুরসভা মিলিয়ে মোট ৯জন, কান্দি শহরের ৬জন, বহরমপুর শহর, হরিহরপাড়া, লালগোলা, ভগবানগোল-১ ব্লক ও শমসেরগঞ্জে একজন করে এবং নবগ্রামে দু’জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পেয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীর সম্প্রতি করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। জেলা পরিষদে যে আধিকারিকের ইতিমধ্যেই করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। কান্দির এই যুবক সেই আধিকারিকের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। এই যুবকের বাড়ি কান্দি শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আদিরাপাড়ায়। জেলা পরিষদের ওই কর্মীর পরিবারের লোকজনের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। সোমবার রাতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, মেয়ে ও পিসির করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। তাঁদের সকলকেই বহরমপুরো কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে ওই গ্রামে আর কে কে এসেছিলেন, তার খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। কান্দি পুরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও বড়ঞা ব্লকের সাটিতাড়া গ্রামের এক বৃদ্ধের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। সাটিতাড়া গ্রামের ওই বৃদ্ধ বাড়িতেই থাকেন। ওই বৃদ্ধের করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁর লালারস সংগ্রহ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কী ভাবে ওই বৃদ্ধের সংক্রমণ হল তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

Advertisement

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement