—ফাইল চিত্র।
করোনা-সংক্রান্ত গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে নবদ্বীপ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারপাড়া থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম ঝন্টু দত্ত এবং বাবুসোনা সাহা।
পুরসভার প্রস্তাবিত একটি কোয়রান্টিন সেন্টার নিয়ে ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো, লকডাউনের বিধিভঙ্গ করা, বেআইনি জমায়েত-সহ একাধিক অভিযোগে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে পুলিশ।
প্রয়োজনে ভিনরাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের থাকার জন্য নবদ্বীপ সরকারপাড়ায় একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটবাড়িকে কোয়রান্টিন সেন্টার হিসাবে নির্বাচন করেছিল নবদ্বীপ পুরসভা। বিষয়টি জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পথে নেমে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুরসভার এক্সকিউটিভ অফিসার অমিতাভ ভট্টাচার্য। আসে পুলিশ। তাঁদের সামনে পেয়ে বিক্ষোভ চরমে ওঠে। পুলিশ ও পুরপ্রতিনিধি বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিক্ষোভকারী জনতার দাবি ছিল, এলাকায় কোনও ভাবেই কোয়রান্টিন সেন্টার করতে দেওয়া হবে না। প্রায় এক ঘন্টা বিক্ষোভ চলার পর তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পর এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার দু’-দিকে বাঁশ ও টিন দিয়ে ব্যারিকেড করে দেন। মঙ্গলবার দিনভর ওই এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখেন বাসিন্দারা। সন্ধ্যায় পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়।
অভিযোগ এর পরই ঝন্টু দত্ত ও বাবুসোনা সাহা তাঁদের ফেসবুকে কোয়রান্টিন সেন্টার নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেন। তার জেরে শহরে শোরগোল পড়ে যায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে সরকারপাড়ার বাসিন্দা অভিযুক্ত দুই যুবককে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫-বি এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনে ১৪৩, ১৪৫, ১৮৮ ও ২৮৩ ধারায় মামলা রুজু করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত ধৃতদের দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)