Coronavirus

কোয়রান্টিন ওয়ার্ড কর্মতীর্থে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কর্মতীর্থে একাধিক ঘর আছে এবং সেগুলি ছোট। যে কারণে সেখানে কোয়রান্টিন ওয়ার্ড করা সুবিধাজনক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০২:২৫
Share:

পরিদর্শনে কর্তারা। নিজস্ব চিত্র

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ওষুধ বা টিকা না থাকায় অন্য দেশগুলির মতো এ দেশেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থায়।

Advertisement

সেই ব্যবস্থারই একটি ধাপ হিসাবে কোয়রান্টিন করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিদের। তবে তেহট্টে আইসোলেশন ওয়ার্ড থাকলেও এখনও কোয়রান্টিনে রাখার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই করোনাভাইরাস নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের মধ্যে কোয়রান্টিনের জায়গা খুঁজতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার তেহট্টের মহকুমা শাসক অনীশ দাশগুপ্ত এবং এসডিপিও শান্তনু সেন আইসি এবং মহাকুমার স্বাস্থ্য আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে তেহট্ট এলাকার কর্মতীর্থ পরিদর্শন করেন। সেখানেই এই ওয়ার্ড করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কর্মতীর্থে একাধিক ঘর আছে এবং সেগুলি ছোট। যে কারণে সেখানে কোয়রান্টিন ওয়ার্ড করা সুবিধাজনক। কারণ, কোয়রান্টিনে একটি ঘরে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি চার থেকে ছ’জনকে রাখা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্টের বেতাই নাজিরপুর এলাকায় একাধিক পরিবারের লোকজন কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। উপসর্গ দেখা দিলে তাঁদের যাতে নজরদারিতে রাখা যায়, সে জন্যই এই কোয়রান্টিন ব্যবস্থা। তেহট্টের এসডিপিও শান্তনু সেন বলেন, ‘‘কিছু দিনের মধ্যে আমরা এই ওয়ার্ড তৈরি করে ফেলতে পারব।’’ তেহট্টের মহকুমা শাসক অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই আজকের পরিদর্শন। এটা করতেই হত। আশা করি, এক-দু’সপ্তাহের মধ্যেই আমরা কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement