প্রদেশ কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় বিশৃঙ্খলা। নিজস্ব ছবি।
পলাশির প্রান্তরে পরাজয় হয়েছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার। সেই ঐতিহাসিক পলাশিতেই চুরি গেল প্রদেশ কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ‘মঙ্গলকলস’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘রণক্ষেত্রে’ বদলে গেল কংগ্রেসের সভাস্থল! বিবাদে জড়িয়ে পড়ল হাত শিবিরের স্থানীয় দুই বিবদমান গোষ্ঠী। গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘ঘট যেখানে ছিল, সেখানেই আছে। নিজেদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।’’
সাগর থেকে পাহাড়ের পথে শুক্রবার নদিয়ায় ছিল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। শনিবারের কর্মসূচি ছিল, নদিয়ার পলাশিতে সভা করে সাংসদ অধীরের নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করবে পদযাত্রা। অভিযোগ, সেই মতো যাত্রা শুরু হতেই দেখা যায়, মঙ্গলকলসটি চুরি গিয়েছে! এই ঘটনার পরেই স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকেন। ঘট চুরি যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নেতৃত্বকে। যদিও কয়েক ঘণ্টা ধরে খোঁজাখুঁজির পর ধানক্ষেত থেকে হারিয়ে যাওয়া ঘট উদ্ধার হয়েছে।
দলীয় সূত্রে দাবি, নাকাশিপাড়ায় কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। এক দিকে রয়েছেন বহু পুরনো নেতা আনিসুর রহমান। অন্য দিকে, ব্লক সভাপতি পুলক সিংহ রায়। দুই গোষ্ঠীরই দাবি, মঙ্গলকলস চুরি যাওয়ার পিছনে অপর গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। আনিসুরের বক্তব্য, ‘‘ঘট নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। পরে মিটেও গিয়েছে। তবে ঘট হারায়নি।’’
অন্য দিকে, নদিয়া জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম শেখ বলেন, ‘‘কয়েক জন কংগ্রেসকর্মী হয়তো ভেবেছিলেন, ঘটের ভিতর মহামূল্যবান মণিরত্ন আছে! তার লোভেই কলস নিয়ে পালিয়েছিলেন তাঁরা। পরে যখন দেখেন, ভিতরে কিছুই নেই, ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।’’