Narendra Modi

Adhir Ranjan Chowdhury-Narendra Modi: কাকমারি স্থল বন্দর নিয়ে মোদীর কাছে অধীর

সূত্রের দাবি, ওই আন্তর্জাতিক বন্দর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার অধীর চৌধুরীর দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস

ডোমকল শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ০৮:১৭
Share:

ফাইল চিত্র।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে ছিলেন মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকের কাকমারি এলাকা দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর তৈরির জন্য, আর কিছু দিন আগে সেই এলাকা পরিদর্শন করে কংগ্রেস নেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী নিজেই এ বার দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। সূত্রের দাবি, ওই আন্তর্জাতিক বন্দর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার অধীর চৌধুরীর দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা হয়েছে। এমনকি ওই এলাকায় গিয়ে তিনি যে ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন সেটিও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। আর এর ফলেই মুর্শিদাবাদের পিছিয়ে পড়া জলঙ্গি এলাকার সীমান্তের মানুষের মুখে নতুন করে হাসি ফুটেছে। আশার আলো দেখছেন মুর্শিদাবাদের ডোমকল মহকুমার সীমান্ত লাগোয়া বাসিন্দারা।

Advertisement

রাজ্যের পিছিয়ে পড়া জেলা মুর্শিদাবাদ। আর মুর্শিদাবাদের পিছিয়ে পড়া এলাকা ডোমকল মহকুমা। এখানকার বড় অংশের মানুষ নির্ভর করে কৃষির ওপরে। আর এলাকায় কাজ না পেয়ে হাজার হাজার মানুষ কাজের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে। ফলে আন্তর্জাতিক বন্দর তৈরি হলে একদিকে যেমন বাড়বে কর্মসংস্থান, তেমনই বাড়বে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও। এলাকা ঘুরতে এসে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের কোনও জায়গা নেই, ফলে এই বন্দর তৈরি হলে দু'দেশের মানুষের যাতায়াত ছাড়াও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান বাড়বে। পিছিয়ে পড়া এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটবে বন্দরের হাত ধরে।’’

জলঙ্গির কাকমারি সীমান্তে পদ্মা নদীর মাঝ দিয়ে ভাগ হয়েছে সীমান্ত। নদীর এ পারে কাকমারি গ্রাম, ও পারে চারঘাট। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রায়ই মিলে মিশে যায় ভারত-বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা। ফলে এলাকার মানুষের দাবি, দুপারে উপযুক্ত পরিকাঠামোর আছে ফলে একটি আন্তর্জাতিক বন্দর তৈরি করা হোক।

Advertisement

এলাকার মানুষের এই দাবির কথা জানতে পেরেই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ছুটে আসেন ওই এলাকায়। গোটা এলাকা দেখে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দর তৈরির জন্য আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সূত্রের দাবি, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি দেখা করেছেন অধীর চৌধুরী।

এবং দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে ওই বন্দর তৈরি নিয়ে। ফলে এলাকার মানুষ আশাবাদী ওই স্থলবন্দরকে ঘিরে। যদিও অধীর চৌধুরীর দাবি, ‘‘এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বড় একটা ভূমিকা আছে। ফলে দুই সরকার এগিয়ে এলে ওই বন্দর তৈরি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করি।’’

এলাকার বর্ডার ডেভলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক জুলফিকার আলী বলছেন, ‘‘দেশভাগের পরে একই পরিবার দুই টুকরো হয়ে দুই দেশে থেকে গিয়েছে। ফলে মুর্শিদাবাদের এই এলাকার মানুষকে মাইল কয়েকের পথ যাওয়ার জন্য পেট্রাপোল বা গেদে হয়ে যেতে হয় রাজশাহীতে। উল্টোদিকে সমস্যাটা একই রকমের রাজশাহী থেকে কাউকে মুর্শিদাবাদ আসতে গেলে ঘুরতে হয় কয়েকশো কিমি পথ। ফলে এই দিক দিয়ে স্থলবন্দর তৈরি হলে যেমন অর্থনৈতিক ভাবেও উন্নয়ন ঘটবে এলাকার, তেমন ভাবে সামাজিক জীবনে একটা বিপ্লব আসবে দুই বাংলায়।’’ প্রায় একই বক্তব্য বাংলাদেশের ইসবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল ইসলামের গলাতেও। তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের এপারেও চারঘাট উপজেলা থেকে রাজশাহীতে ওই বন্দর তৈরি নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরী হয়েছে। মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নজরেও দেওয়া হয়েছে বিষয়টি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement