Adhir Ranjan Chowdhury

Congress: ‘মমতা-ঘনিষ্ঠদের ধরে অভিষেক-ঘনিষ্ঠদের ছাড়!’ মন্তব্য অধীরের, ‘প্রলাপ’ বলছে তৃণমূল

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রতের গ্রেফতারির সূত্র ধরে অধীর বলেন, ‘‘ধরা পড়ছে শুধু দিদির লোকেরা। ভাইপোর টিম দূরে দূরে আছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২২ ১৮:০০
Share:

মমতা, অভিষেক এবং অধীর। ফাইল চিত্র।

অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। শুক্রবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর দাবি করেন, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট নেতাদের গ্রেফতার করা হলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ট কোনও নেতা এখনও সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার জালে পড়েননি। এর পরেই তার ‘জবাব’ আসে তৃণমূল শিবির থেকে।

Advertisement

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রতের গ্রেফতারির সূত্র ধরে অধীর বলেন, “সমস্ত ঘটনার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবার জড়িত। আজকে বেছে বেছে মমতার দলের ক’টা লোককে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর এর পরেই বলেন, “সিবিআই বাধ্য হয়ে তদন্ত করলেও ধরা পড়ছে দিদির টিমের লোকরা। ভাইপোর (অভিষেকের) টিমের লোকরা কিন্তু দূরে দূরে আছে। ”

অধীরের অভিযোগ, দিল্লির ইডি দফতরে ‘রফা’ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ভাইপো প্রথম দিল্লি গিয়ে ইডির দফতরে ন’ঘণ্টা জেরার মুখোমুখি হয়েছিল। সব উগরিয়ে এসেছে ভাইপো। তারপর থেকে দিদি, মোদীর সুরে ডায়লগ বলতে শুরু করেছেন।’’ পাশাপাশি অধীর দাবি করেন, বিরোধী ঐক্য ভাঙছে তৃণমূল। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের শাসকদল কোনও আন্দোলন করেনি।

Advertisement

অধীর বলেন, “দিদি প্রশ্রয় দিতে পারে। রক্ষা করতে পারে না। চিরদিন সমান যায় না, কেষ্টবাবু (অনুব্রত) তার প্রমাণ দিয়ে দিয়েছেন।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘চোর ধরা পড়ছে হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে। সিবিআই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।’’

অধীরের মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘‘পাগলের প্রলাপ বকছেন অধীরবাবু। ওঁর কথার কোনও যুক্তি আছে বলে আমরা এমনিতেই মনে করি না। ওঁর নেতৃত্বে লড়াই করে কংগ্রেস আজ বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। আগে নিজের দলের নেতা-নেত্রীকে সিবিআই ইডির হাত থেকে বাঁচান। আমাদের নেত্রী ও নেতাকে নিয়ে না ভাবলেও চলবে অধীরবাবুর।’’

অন্য দিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘যখন কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের সিবিআই ও ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন দিল্লিতে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কংগ্রেস। আর সেই ইডি সিবিআই বাংলায় যখন তৃণমূলকে বিব্রত করে, তখন এখানকার কংগ্রেস আনন্দিত হয়। এদের দ্বিচারিতা মানুষ ধরে ফেলেছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যেমন কংগ্রেস লুপ্ত হয়ে গিয়েছে, আগামিদিনে সারা ভারত থেকেও এরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement