কংগ্রেসের দাবি, এ বার হাজারেরও বেশি তৃণমূল কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন। ফাইল ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়া, মুর্শিদাবাদে লাগাতার শাসকদলে ভাঙন ধরানোর দাবি করে আসছে বাম-কংগ্রেস। সোমবারও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে নদিয়ায় বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতা-সহ শাসক পক্ষের বহু কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করল হাত শিবির। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর থেকে কংগ্রেসের পালে হাওয়া লেগেছে বলে ধরে নিয়ে দুই জেলায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি যোগদান সভা করেছেন অধীর। কংগ্রেসের দাবি, এ বার হাজারেরও বেশি তৃণমূল কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন। এই দাবিকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ শাসকদল। তাদের বক্তব্য, কংগ্রেস দিবাস্বপ্ন দেখছে!
সোমবার ধুবুলিয়ার সোনাতলার মাঠে যোগদান সভার আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। সেখানে অধীর ছাড়াও জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের দাবি, ওই সভায় হাজির হয়ে তাদের দলে যোগ দেন তৃণমূলের ব্লক ও অঞ্চল স্তরের বেশ কয়েক জন নেতা। যোগদান করেছেন কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ওয়াহেদ আলি মণ্ডল, কালিনগরের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সোমা খাতুন মোল্লা, নওপড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাফিজুল হক চৌধুরী, ওই পঞ্চায়েতের সদস্য ফকির শেখ এবং বুথ সভাপতি সেন্টু বিশ্বাস। সকলেই অধীরের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন।
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র সিলভি সাহা বলেন, ‘‘আজ অধীরবাবুর সভা থেকে তৃণমূল ছেড়ে একাধিক নেতা-সহ হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েই তাঁরা যোগ দিয়েছেন।’’
কংগ্রেসের এই যোগদান কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘কেউ যদি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখে, তার দায়িত্ব তৃণমূলের নয়! ফাঁকা মাঠ নিয়ে বড় বড় ভাষণ দিতে এদের লজ্জা লাগে না ভেবেই অবাক লাগছে।’’