বিজেপির পদ্ম পতাকা হাতে নিয়ে তৃণমূলের মিছিলে হাঁটছেন এক ব্যক্তি! নিজস্ব চিত্র।
দলের জেলা সভাপতি, বিধায়কের নেতৃত্বে মিছিল করছিল তৃণমূল। উদ্যমী হয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। এমন সময় নজরে এল, বিজেপির পদ্ম পতাকা হাতে নিয়ে ওই মিছিলে হাঁটছেন এক ব্যক্তি! মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় শাসকদলের মিছিলের সেই ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলকেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বামেরা। সিপিএমের বক্তব্য, তাদের ‘যাহাই বিজেপি, তাহাই তৃণমূল’ তত্ত্ব আবারও প্রমাণিত হল!
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তার পর থেকেই এলাকায় কোণঠাসা হয়ে পড়া দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতেই রবিবার মিছিলের ডাক দিয়েছিল শাসক তৃণমূল। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়, ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মাহে আলম। বড়ঞার করালি তলা মোড় থেকে বাহাদুরপুর মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। সেই মিছিলেই বিজেপির পতাকা হাতে এক ব্যক্তি দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তির হাত থেকে পতাকা কেড়ে নেওয়া হয়। তত ক্ষণে অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন।
সমাজমাধ্যমে সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে। সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। তৃণমূল-বিজেপি দুই দলকে কটাক্ষ করেছেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য কমিটির সদস্য তথা মুর্শিদাবাদের বাম যুব নেতা সন্দীপন দাস বলেন, ‘‘যাহাই বিজেপি, তাহাই তৃণমূল! এ মিছিল আরও এক বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।’’
ভিডিয়োর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাহে আলম বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। রাস্তার পাশে পড়ে বিজেপির একটা পতাকা পড়ে ছিল। সেটা নিয়েই উনি হাঁটতে শুরু করেন। চোখে পড়তেই সেটা সরিয়ে দিই আমরা।’’ অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদের বিজেপির বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিজেপির সঙ্গেই আছে। শুধুমাত্র পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমাদের আটকে রেখেছে তৃণমূল। এই চিত্র প্রমাণ করে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ রুখে দাঁড়াবেন।’’