ব্যথা কমাতে গরম জলের সেঁক দিতে গিয়ে পিঠ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহরমপুরের এক নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রোগীর বাড়ির লোকজনকে জানানোরও প্রয়োজন মনে করেননি। উল্টে তাঁরা জানান, বিছানায় শুয়ে থাকার কারণে রোগীর ‘বেডসোর’ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নার্সিংহোম থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরে পিঠের ব্যান্ডেজ খুলতেই বিষয়টি জানা যায়। তার পরেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় ওই পরিবার।
১৭ জুলাই পিঠে অসহ্য ব্যথা নিয়ে বহরমপুরের বেসরকারি ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন বহরমপুর খাগড়া এলাকার বাসিন্দা খুশবু জৈন। তাঁকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে ভর্তি করানো হয়। পিঠে ব্যথার কারণে তিনি ঠিক মতো হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না। খুশবুর স্বামী রাহুল জৈনের অভিযোগ, মাত্রাতিরিক্ত গরম জলে সেঁক দেওয়ার কারণে এ ভাবে পুড়ে গিয়েছে। এটা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই হয়েছে। ওই নার্সিংহোমের কর্ণধার বিজয়কুমার গুলগুলিয়া জানান, হট-কম্প্রেস ব্যাগ দেওয়ার সময়ে কোনও কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে। তবে রোগীর দায়িত্বে যে দু’জন মহিলা আয়া ছিলেন তাঁদের জেরা করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে। অনিচ্ছাকৃত ওই ভুল কী করে হল সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরুপম বিশ্বাস বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছি।’’