Murshidabad Medical College

শিশু বদলের নালিশ মেডিক্যালে

শিশুর পরিবারের লোকজন ভারপ্রাপ্ত এমএসভিপি সুপ্রতীক চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে সদ্যোজাত বদলের অভিযোগ তোলেন। তবে সে সময় ভারপ্রাপ্ত এসএসভিপি তাঁদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ চান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৭
Share:

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে শিশু বদল ঘটনাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের জেরে মাতৃ মা'য়ে মোতায়েন পুলিশ। ছবি গৌতম প্রামাণিক।

জন্মেছে সুস্থ শিশু অথচ তাঁদের দেওয়া হচ্ছে মৃত শিশু—সদ্যোজাত বদলের এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ভগবানগোলার কালুখালির ওই শিশুর পরিবারের লোকজন রবিবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃ মা বিভাগের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান। মাতৃ মা চত্বরে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের পাইপ তুলে ওয়ার্ডে ভাঙচুরের উদ্দেশে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই শিশুর এক আত্মীয়া।

Advertisement

ওই শিশুর পরিবারের লোকজন ভারপ্রাপ্ত এমএসভিপি সুপ্রতীক চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে সদ্যোজাত বদলের অভিযোগ তোলেন। তবে সে সময় ভারপ্রাপ্ত এসএসভিপি তাঁদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ চান। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডের চিকিৎসার গাফিলতিতে রঘুনাথগঞ্জের এক গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিবার। মৃত ওই মহিলার নাম কাজলি বিবি (২৭)। তাঁর বাড়ি রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরে।

শিশু বদলের অভিযোগ প্রসঙ্গে সুপ্রতীক বলেন, ‘‘এটা ওঁদের দিক থেকে বিভ্রান্তি। তবুও লিখিত অভিযোগ চেয়েছি। অভিযোগ না দিলেও আমরা বিভাগীয় তদন্ত করে দেখব। এর বেশি কিছু বলব না তদন্তের আগে।’’ রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরের কাজলি বিবির চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর প্রসঙ্গে এমএসভিপি বলেন, ‘‘অভিযোগ এলে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’ ভগবানগোলার কালুখালির ২২ বছর বয়সি সাবানা বিবি দিন পাঁচেক আগে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার বিকেলে অস্ত্রোপচার করে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সাবানার স্বামী রফিকুল শেখের অভিযোগ, ‘‘শনিবার রাতে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, আমার সন্তান মারা গিয়েছে। রবিবার সকালে জানতে পারি এদিন সকাল ৮ টায় আমার সন্তান মারা গিয়েছে। আবার, আমার স্ত্রীর হাতে ২৯৫ নম্বরের টোকেন দেওয়া রয়েছে। আর যে মৃত সন্তান আমার বলে দেওয়া হচ্ছে তার হাতের টোকেনে ২০০ নম্বর লেখা রয়েছে। তাই মনে হয়, সুস্থ শিশু বদল করে মৃত শিশু দেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement