প্রতীকী ছবি।
জেলার অধিকাংশ পুলিশ আধিকারিকের নির্দিষ্ট দফতর ভিত্তিক স্থায়ী ফোন নম্বর সম্প্রতি একসঙ্গে বদলে গিয়েছে! সেই নতুন নম্বর অধিকাংশের কাছে অজানা থাকায় এই মুহূর্তে প্রয়োজনে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি অনেকেই যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার-সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, এসডিপিও, আইসি, ওসি এবং অন্য আধিকারিকদের এতদিন ধরে যে মোবাইল সিম সংস্থা ‘ক্লোজার ইউজার গ্রুপ’ পরিষেবা দিয়ে আসছিল সেই সংস্থার পরিবর্তে নতুন সংস্থার সঙ্গে এ ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। তাই বদলে গিয়েছে সিম এবং নম্বর।
পুলিশ আধিকারিকদের ব্যক্তিগত ফোন থাকলেও সেই নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে থাকে না। থানার স্থায়ী নম্বারেই যোগাযোগ করে থাকেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। হঠাৎ সেই নম্বর বদলে যাওয়ায় বিভিন্ন থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে অধিকাংশ মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাঁরা প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
তেহট্টের বাসিন্দা বিশু চট্টোপাধ্যায় যেমন বলেন, “একটা সমস্যার জন্য থানার আধিকারিককে ফোন করি অনেক বার। কিছুতেই পাচ্ছিলাম না। পরে থানায় গিয়ে জানতে পারি, নম্বর বদলে গিয়েছে।”
রাজু বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দার কথায়, “পলাশিপাড়ায় রাস্তায় এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। তাঁকে উদ্ধারের জন্য এলাকার পুলিশ আধিকারিককে ফোন করি। কিন্তু নম্বর বন্ধ ছিল। পড়ে শুনি, বদলে গিয়েছে।”
তবে পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, অনলাইনে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ওয়েবসাইটে প্রত্যেক থানার আধিকারিকদের নতুন নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে সীমান্ত বা গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষ ওয়েবসাইটের ব্যাপারে এখনও সড়গড় নন। ফলে নতুন নম্বর এখনও তাঁদের অধরা।
তেহট্ট মহকুমার এসডিপিও নাগরাজ দেবারকোন্ডা বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও সরাসরি সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য কী ভাবে নতুন নম্বর তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে নানা পরিকল্পনানেওয়া হচ্ছে।”
রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই পুলিশ জেলার ক্ষেত্রেও সমস্ত আধিকারিকের ফোন নম্বারপরিবর্তিত হবে।”
নম্বর পরিবর্তনের ব্যাপারে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, “একটু সময় লাগবে তবে কিছু দিনের মধ্যেই নতুন নম্বার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।’’