রঙিন স্পিড ব্রেকার। নিজস্ব চিত্র।
কালো রাস্তার উপরে আড়াআড়ি হলুদ-কালো ডোরা। গায়ে লাল ইন্ডিকেটর। দূর থেকে আলো পড়লেই জ্বলে উঠে জানান দেবে অস্তিত্ব। চালককে সাবধান করবে ‘ধীরে চলো’ বলে। হেরিটেজ নবদ্বীপে বেলাগাম বাইক, টোটো বা অন্য গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রনে রঙিন স্পিড ব্রেকারেই ভরসা রাখছে ট্রাফিক পুলিশ। নতুন বছর থেকেই নবদ্বীপ জুড়ে এমন স্পিড ব্রেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শহরের বিভিন্ন স্কুলের সামনে বা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের আগে পরে সেগুলি বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের প্রথম হেরিটেজ শহর নবদ্বীপ আদতে একটি পর্যটন কেন্দ্র। চৈতন্যদেবের জন্মস্থান নবদ্বীপ এবং গঙ্গার পূর্বপাড়ে মায়াপুরে ইসকন মন্দির ঘিরে বছরভর দেশ-বিদেশের পর্যটকের যাতায়াত এখানে। ঘিঞ্জি রাস্তায় টোটোর উপদ্রবে পথে নামতে হয় প্রাণ হাতে। শীতের মরসুমে বহিরাগত মানুষে ঠাসা শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুরন্ত গতির বাইক, বেপরোয়া টোটো। যাত্রী নিয়ে রেষারেষির জেরে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
বুড়োশিবতলা রোড ধরে বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট, যোগনাথ তলা থেকে প্রাচীন মায়াপুর, বাঁধ রোড, রাধাবাজার থেকে তেঘরি পাড়া, সরকার পাড়া বাইপাস, ইদিলপুর রেলগেট থেকে তেঘরি পাড়ার রাস্তায় মোটরবাইকের দাপাদাপি চলে। দুর্ঘটনা, পুলিশি ধরপাকড়ে ফল না হওয়ায় স্পিড ব্রেকারের সিদ্ধান্ত। রাস্তা তৈরির সময় দেখা যায়, যেখানে প্রয়োজন সেখানে স্পিড ব্রেকার নেই। ট্রাফিক পুলিশের কথায়, আসলে রাস্তা করেন পূর্ত দফতর, পুরসভা বা পঞ্চায়েত। তারা পুলিশের সঙ্গে কথা না বলে তাদের মত কাজ করে। কিন্তু এই স্পিড ব্রেকার ট্রাফিক নিজেরাই প্রয়োজন মত বসাতে পারবে।
এই প্রসঙ্গে নবদ্বীপের আইসি জলেশ্বর তেওয়ারি বলেন, ‘‘গতির রাশ টানতে শহরের সমস্ত ব্যস্ত পথে বসানো হবে আধুনিক এই স্পিড ব্রেকার। বৃহস্পতিবার নবদ্বীপ বালিকা বিদ্যালয়, ঢপওয়ালির মোড়, বাঁধ রোডে সারস্বত মন্দির স্কুলের সামনে বসানো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আমরা সমীক্ষা করে অন্য রাস্তাতেও বসিয়ে ফেলব।