হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ছোট্ট মনীষার আত্মীয়রা। — নিজস্ব চিত্র।
নেশা ছিল স্কুলের প্রথম বেঞ্চে বসা। তাই স্নান সেরে স্কুলে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছিল খুদে পড়ুয়া। স্নানের ভেজা কাপড় মেলতে গিয়ে ছাদে বাধা দড়িতেই ফাঁস লেগে মৃত্যু হল সাত বছরের শিশুকন্যার। বাড়ির মেয়ের এমন অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার। শোকের ছায়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ওই শিশুর নাম মনীষা দাস (৭)। বাড়ি নদিয়ার হাঁসখালি থানার দক্ষিণপাড়ায়। পরিবারের দাবি, স্কুলে যাওয়ার আগে স্নান করে ছাদে জামা, কাপড় মেলতে গিয়েছিল ছোট্ট মনীষা। কিন্তু স্কুলে দেরি হয়ে যাচ্ছে। বেশি দেরি হলে প্রথম বেঞ্চে আর জায়গা পাবে না। তাই তাড়াহুড়ো করে মনীষা নামতে যায় ছাদ থেকে। তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। ছাদে জল পড়ে থাকায় পা হড়কে পড়ে সে। তখনই ছাদে কাপড় মেলার জন্য টাঙানো বাঁশে বাঁধা দড়ি মনীষার গলায় পেঁচিয়ে যায়। গোঙানির শব্দে নীচ থেকে ছাদে ছুটে যান পরিবারের লোকজন। গলার ফাঁসের দড়ি কেটে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ভজহরি দাস বলেন, ‘‘ছোট থেকেই ওর পড়ার নেশা খুব। রোজ সকাল সকাল স্কুলে যেত শুধু প্রথম বেঞ্চে বসবে বলে। স্নান করে নিজেই পোশাক পরে বেরিয়ে যেত। এত হাসিখুশি একটা বাচ্চার এই পরিণতি মানতে পারছি না!’’ মৃত শিশুর এক আত্মীয় বলেন, ‘‘দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত মনীষা। স্নান করে ছাদে গিয়েছিল জামা, কাপড় রোদে মেলে দেবে বলে। কোনও ভাবে ছাদে পড়ে যায় মনীষা। তখনই গলায় ফাঁস লেগে যায়। ছুটে গিয়ে দেখি সব শেষ!’’