BSNL Network

গ্রাহক টানছে বিএসএনএল

বিএসএনএলের এক পদস্থ কর্তা জানান, ৪জি পরিষেবা সাধারণ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে মাস খানেক সময় লাগবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

হু হু করে গ্রাহক টানছে বিএসএনএল। যে সব ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির ঘরে দিনে ১০টি সিম বিক্রি ছিল না, এখন সেখানে লাইন পড়ছে। গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি নতুন সিম বিক্রি হচ্ছে। তবে ৭০ শতাংশ সিমই বেসরকারি সংস্থার সিম পোর্ট করে বিএসএনএলে আসছে।

Advertisement

একাধিক চালু বেসরকারি সংস্থা মোবাইল রিচার্জের দাম বাড়িয়েছে বা সময় সীমা কমিয়েছে। সেখানে বিএসএনএলের দাম অনেকটাই কম। সময়সীমা বেশি। সেই কারণে চাহিদা বাড়ছে বিএসএনএল সিম-এর। গিরিয়ার এনাকুল রহমান বলছেন, “মোবাইল কেনার পর থেকেই বেসরকারি সিম ব্যবহার করে আসছি। ভালই চলছিল। কিন্তু যা দাম বেড়েছে তাতে বাড়তি দাম মেটানো এখন যথেষ্ট কষ্টকর। তা ছাড়া স্ত্রী, ছেলে ও আমার মিলিয়ে তিনটি একই কোম্পানির সিম ছিল বাড়িতে। আপাতত দু’টি পোর্ট করেছি। একটি রেখেছি। কারণ বিএসএনএলে নেট স্পিড খুব কম।”

অরঙ্গাবাদের বিড়ি মুন্সি সফিকুল ইসলাম বলছেন, “কী করব? বেসরকারি সংস্থাগুলি এক সঙ্গে সবাই দাম বাড়িয়েছে। তাই এ ভাবে হঠাৎ করে দাম বাড়ানোয় সমস্যায় পড়েছেন সকলেই। তাই নম্বর না বদলে বিএসএনএলে গিয়েছি।”

Advertisement

এক বিএসএনএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মালিক আশিস চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিদিন ৬০-৭০ টা সিম বিক্রি হচ্ছে। জেলা থেকে এখন সিম সরবরাহ ঠিক মতো দিতে পারছে না। তাই আমরাও বহু জনকেই ফিরিয়ে দিচ্ছি।” তবে প্রযুক্তিগত ভাবে ১৫ মে কলকাতায় চালু হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা। কিন্তু গ্রামে গঞ্জে এখনও রয়েছে ৩জি পরিষেবা। অথচ বেসরকারি সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই ৪জি ছাড়িয়ে ৫জি পরিষেবায় পৌঁছে গিয়েছে।

বিএসএনএলের এক পদস্থ কর্তা জানান, ৪জি পরিষেবা সাধারণ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে মাস খানেক সময় লাগবে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ধাপে ধাপে চালু হতে শুরু করবে ৪জি সংযোগ। মাস দু’য়েকের মধ্যে কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের ৫০টি শহরের গ্রাহকেরা তা পাবেন। পুরো রাজ্যকে ৪জি দিতে অবশ্য এক বছর গড়িয়ে যেতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বিএসএনএলের ৪জি চালু হয়েছে আগেই। শেষ দফায় পালা ছিল পূর্বাঞ্চলের।

বিএসএনএলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস সরকার ঘোষণা করেছেন, “৪জি এনে বাজার দখল বাড়াতে টেলিকম পরিষেবা সংস্থার মধ্যে ‘মাসুল যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। তবে দেশে বিএসএনএলের যে পরিকাঠামো এবং দক্ষ কর্মীরা রয়েছেন, তাতে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে বাড়তি সুবিধা মিলবে।’’ তাঁর মতে, ৪জি-র যন্ত্রাংশ দিয়েই বছর খানেকের মধ্যে ৫জি চালু করার আশা রয়েছে। ৪জি আনতে তিন
বছরের বেশি সময় লাগলেও, ৫জি আসবে অনেক দ্রুত।

বেসরকারি মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলি মন্তব্য করতে চায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement