সিআইডি জরুরে। নিজস্ব চিত্র।
এ বার সিআইডির নজরে জঙ্গিপুরের জরুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সেই এলাকার একটি বড় শপিং মল। অন্তত কয়েক কোটি টাকা দিয়ে জমি কিনে তিন তলা ওই শপিং মলটি গড়ে উঠেছে বছর খানেক আগে খুব অল্প সময়েই। এর মালিক স্থানীয় এক ব্যক্তি। এই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ট্রেড লাইসেন্স ও খোঁয়াড়ের ইজারা নিয়ে কেন সে সময় খোঁয়াড়টি জরুর পঞ্চায়েতের বদলে জামুয়ার পঞ্চায়েতে নিয়ে গিয়ে চালানো হয়েছিল ২০১৮-১৯ সালে, সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন সিআইডি অফিসারেরা।
নিয়ম মতো এটা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সব জেনেও সেদিন পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নেয়নি কেন? আর কেনই বা সে খোঁয়াড় জামুয়ার পঞ্চায়েতে চালানো হত? সূত্রের খবর, এর কোনও উত্তর অবশ্য দিতে পারেননি পঞ্চায়েতের কর্তারা। ওই শপিং মলের মালিকের বাড়িও জামুয়ারে।
বুধবার রাজ্য সিআইডির তিন অফিসার জরুর পঞ্চায়েতে গিয়ে একাধিক ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মহিলা প্রধান ও তাঁর স্বামীকে। ঘন্টা খানেক সেখানে ছিলেন তাঁরা। রঘুনাথগঞ্জ শহর লাগোয়া তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত এই পঞ্চায়েতে এই নিয়ে এক মাসের মধ্যে বার চারেক এলেন সিআইডির অফিসারেরা।
পঞ্চায়েত অফিসের সামান্য দূরেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার পাশেই রয়েছে বহু দিনের পুরনো গরুর হাট। তবে এই হাট নিয়ে কোনও কথা জানতে চাওয়া হয়নি। এই জরুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই একটি বড় শপিং মল খোলা হয়েছে বছর খানেক আগে। চড়া দামে জমি কিনে কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে সেখানে। সেই টাকার উৎসের খোঁজ করতে সিআইডির নজরে সেই শপিং মলটিও।
জরুর পঞ্চায়েতের প্রধান মঞ্জুরি বিবির স্বামী মজিবর শেখ বলেন, “খোঁয়াড় ছাড়াও কয়েক জনের নাম করে কেমন করে তাঁরা জরুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স পেয়েছিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়। আমাকে শপিং মলের মালিকের নাম করেই জানতে চাওয়া হয় তাকে কেমন করে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল জরুর পঞ্চায়েত থেকে? আমি তাঁদের জানিয়েছি, ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই পঞ্চায়েতের। কেউ যদি জমি কিনে কোনও ব্যবসা করতে চায় তা হলে ট্রেড লাইসেন্স দিতে পঞ্চায়েত বাধ্য। তা ছাড়া এতে পঞ্চায়েতের আয়ও বাড়ে।”
তিনি জানান, এই নিয়ে বার কয়েক এলেন সিআইডির অফিসারেরা। এর আগে যাবতীয় নথিও নিয়ে গেছেন। নোটিস পাঠিয়ে সিআইডি অফিসে ডেকেও পাঠানো হয়। বুধবার আবার আসেন তারা। গত শনিবারই সিআইডি বড়শিমুল থেকে গ্রেফতার করেছে জেনারুল শেখ নামে এক খোঁয়াড় মালিককে। আপাতত সে ১২ দিনের জন্য সি আই ডি হেফাজতে রয়েছে।