কৃষ্ণনগরে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। — ফাইল চিত্র।
তিন দিনের জেলা সফরে মঙ্গলবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে পৌঁছে বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীকে হেলিপ্যাডে স্বাগত জানান তৃণমূলের জেলার নেতারা। এর পর সার্কিট হাউসে তিনি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিধানসভার স্পিকারের দাবি অনুযায়ী, মুকুল এখনও বিজেপিরই বিধায়ক। এই আবহে বৈঠকটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে নামেন মমতা। সেখানে ছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, দলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কল্লোল খাঁ, নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু-সহ অনেকেই। সেখান থেকে তিনি পৌঁছন কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউসে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে পৌঁছন কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক মুকুল রায়ও।
মঙ্গল এবং বুধবার কৃষ্ণনগরে থাকবেন মমতা। বুধবার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে দলীয় কর্মিসভা রয়েছে তাঁর। কৃষ্ণনগরের সভা শেষে তাঁর শান্তিপুরে যাওয়ার কথা। সেখানে দু’টি জায়গায় রাস উৎসবে যোগ দেবেন তিনি। পরে আবার কৃষ্ণনগর ফিরে আসবেন। বৃহস্পতিবার তাঁর যাওয়ার কথা রানাঘাটের হবিবপুরে ছাতিমতলার মাঠে। সেখানে রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। নদিয়ায় রাস উৎসবেও যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর যাবতীয় কর্মসূচি রয়েছে কৃষ্ণনগরে। শান্তিপুর বা নবদ্বীপে তাঁর যাওয়ার কোনও কর্মসূচির কথা জানানো হয়নি।
তৃণমূলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কেন মুকুল ছিলেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এরা তো বহুরূপী। ভোটে জেতার জন্য বিজেপি। সুবিধা ভোগ করার জন্য তৃণমূল। সাহস থাকলে উনি এক বার বলুন যে, তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মাস কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন, মুকুল বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু মুকুল নিজে জানান, তিনি বিজেপি বিধায়ক নন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও মুকুল ভোট দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীকে। গত মাসে ভাইফোঁটার দিনেও তাঁকে দেখা গিয়েছে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে। মমতা তাঁকে ফোঁটাও দিয়েছিলেন। অন্য দিকে, বৈঠকে মুকুলের থাকার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখছে না ঘাসফুল শিবির।