— প্রতীকী চিত্র।
ভিতর থেকে বন্ধ দরজা। ঘরের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলছেন যুবক। দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ঘটনা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পেশায় সরকারি কর্মী ওই যুবক। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা করেছেন যুবক। তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। বয়স ৩৫ বছর। বহরমপুরের সৈদাবাদ এলাকার বাসিন্দা অনিন্দ্য পেশায় সরকারি কর্মী। মা-বাবার মৃত্যু এবং একমাত্র দিদির বিয়ের পর থেকে পৈতৃক বাড়িতে একাই থাকতেন যুবক। গত কয়েক মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অনিন্দ্য। বৃহস্পতিবার সকালে অনিন্দ্যর বাড়ি থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখেন স্থানীয়রা। কাছে গিয়ে দেখেন বন্ধ ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। পুড়ছেন যুবক।
স্থানীয়রা খবর দেন থানায়। দরজা ভেঙে যুবককে উদ্ধার করেন পুলিশ ও স্থানীয়েরা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রেশমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনিন্দ্যর আত্মীয়দের বারবার জানালেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা করেননি। যোগাযোগ রাখেননি। শুধু মাত্র পরিবারের উদাসীনতায় ছেলেটা শেষ হয়ে গেল।’’ মৃতের আত্মীয় সুবোধ ভট্টাচার্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘মা-বাবার মৃত্যুর পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিল ছেলেটি। তাঁর চিকিৎসাও করানো হয়েছে। অবহেলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’