Foggy Berhampore

ভোর-সন্ধ্যায় ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে

শীত-কুয়াশার দাপটে কিছুটা হলেও সমস্যার মুখে মোটরবাইক আরোহী ও গাড়ির চালকেরা। বিভিন্ন রাজ্য সড়ক, জাতীয় সড়কে রাতভর চলে মালবাহী গাড়ি, চলে ছোট-বড় যাত্রিবাহী গাড়িও।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৪
Share:

কুয়াশায় ঢেকেছে রাস্তা। —ফাইল চিত্র।

গত কয়েক দিন ধরে ঝাঁকিয়ে পড়েছে শীত। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে ঘন কুয়াশার দাপট। জাঁকিয়ে শীত পড়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকবে বলেও দাবি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। গাড়িতে ‘ফগ লাইট’ ব্যবহারের জন্য চালকদের বলা হচ্ছে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি না চালানো, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি না চালানোর জন্যও বলা হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক থানার পুলিশের উদ্যোগে রাতে গাড়ি চালকদের চা পান করানো হচ্ছে।

Advertisement

শীত-কুয়াশার দাপটে কিছুটা হলেও সমস্যার মুখে মোটরবাইক আরোহী ও গাড়ির চালকেরা। বিভিন্ন রাজ্য সড়ক, জাতীয় সড়কে রাতভর চলে মালবাহী গাড়ি, চলে ছোট-বড় যাত্রিবাহী গাড়িও। রাতেরবেলা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়েও ছুটতে হয় চালকদের। ঘন কুয়াশার কারণে কমে দৃশ্যমানতা। হরিহরপাড়া হাসপাতালের এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক রিপন শেখ বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পর বিশেষ করে রাতের দিকে কুয়াশার কারণে গাড়ি চালাতে খুব অসুবিধে হয়। ফাঁকা মাঠে কুয়াশার কারণে খুব কাছের জিনিসও দেখা যায় না। ফলে দুর্ঘটনা বাড়ে।’’

জেলার মানুষ ভোলেননি, ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি দৌলতাবাদের বালিরঘাটে সেতু থেকে বিল ভান্ডারদহের জলে বাস পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৪৪ জন বাসযাত্রীর। দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ছিল ঘন কুয়াশা ও চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার। ১৯৯৮ সালের ১৩ জানুয়ারি জলঙ্গিতে যাত্রী বোঝাই বাস পদ্মার শাখা নদীতে পড়ে মৃত্যু হয় ৬২ জনের। গত কয়েক বছর ধরে শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ফলে কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপরতা শুরু হয়েছে পুলিশ, প্রশাসন, পরিবহণ ও পূর্ত দফতরের।

Advertisement

গাড়ি চালকদের একাংশের দাবি, বিভিন্ন রাজ্য সড়ক এমনকি জাতীয় সড়কের ধারে সারি দিয়ে ট্রাক সহ অন্যান্য গাড়ি দাঁড় করানো থাকে। যার ফলে কুয়াশার দাপটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির কারণে দুর্ঘটনাও ঘটে।

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার ধারে বিশেষ করে রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কের ধারে সাদা ‘রোড মার্কিং’ করা হয়েছে। রাস্তার বাঁকের মুখে লোহার রেলিঙের উপর বিশেষ ধরনের রঙিন স্টিকার লাগানো হয়েছে যাতে আলো পড়লেই চোখে পড়ে এমন স্টিকার লাগানো হয়েছে। আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের বেলা পরিবহণ দফতর ও পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘চালকদের সচেতন করা হয়েছে। রাতের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement