জামাই ষষ্ঠীর বাজার। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। তার মধ্যেই ‘দোসর’ ঘূর্ণিঝড় আমপান। দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে মার খেল জামাইষষ্ঠীর বাজার। পাশাপাশি, লকডাউন চলায় দূর-দূরান্তে বিয়ে হওয়া মেয়েরাও বাপেরবাড়ি আসতে পারছেন না। সব মিলিয়ে এ বারের জামাইষষ্ঠী অনেকটাই ম্লান।
বুধবার থেকে চালু হয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস পরিষেবা। তবু করোনা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্বকে প্রাধান্য দিয়ে এক জেলা থেকে আর এক জেলায় যেতে রাজি নয় নতুন বিয়ে হওয়া তরুণ-তরুণীরা, বলছেন বীরভূমের বাসিন্দা সুজাতা চোধুরী ও তাঁর স্বামী অরুণাভ। করোনা ভাইরাসের থাবা যে এভাবে চেপে বসবে, মাস খানেক আগেও ভাবতে পারেননি কান্দির সৌমী বিশ্বাস। বহরমপুরের শ্বশুরবাড়িতে বসে সৌমী বললেন, “ভয়ে বাড়ির বাইরেই পা দিচ্ছি না। কান্দি যাওয়ার প্রশ্নই নেই।’’ টানা লকডাউনে হাত খালি থাকলেও অনেক শ্বশুর শাশুড়িই এই দিনটাতে জামাইবাবাজির অাপ্যায়নে কার্পণ্য করতে নারাজ। তবে করোনার প্রকোপ কমলেই তাঁরা মেয়ে-জামাইকে বাড়িতে আনার পক্ষপাতী। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী অমল সাহা বললেন, ‘‘চতুর্দিকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এই অবস্থায় মেয়েকে বললাম, পরে কোনওদিন জামাইষষ্ঠী করা যাবে। এখন তোরা আসিস না।’’
এক কথায় করোনা আর আমপানে ম্লাণ জামাইষষ্ঠীর বাজার।