—প্রতীকী ছবি।
কেউ ভয়ে সিঁটিয়ে। আবার কেউ ভাবলেশহীন। বহরমপুরের বনশ্রী সরকার কিংবা রঘুনাথগঞ্জের সৌমেন দাস, ডোমকলের মীর কাসিম শেখ থেকে সাগরদিঘির শাহিনা সুলতানা সব মিলিয়ে জেলার ১৫৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে তলব করল সিবিআই। পোস্টিং দুর্নীতিকাণ্ডে মোট ৩৪৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে বড় অংশ মুর্শিদাবাদের হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে জেলায়।
কলকাতা হাই কোর্টের আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশের পোস্টিং দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই আতশকাচের নীচে থাকা ৩৪৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনও অর্ডার কপি তাদের হাতে এসে না পৌঁছানোয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পোস্টিং দুর্নীতিকাণ্ডে মুর্শিদাবাদের ১৫৩ জন শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হবে বলে খবর।
পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় ডাক পাওয়া রেজিনগরের রবিউল শেখ বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় পোস্টিং দিয়েছে ডিপিএসসি। যদি কারওর ভুল হয়ে থাকে, তার দায় আমরা কেন নেব। আমরা সিবিআইয়ের চিঠি পেয়েছি। যখন ডাকবে সাহায্য করব।’’ উত্তর দিনাজপুর থেকে মুর্শিদাবাদে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছেন কৃষ্ণপদ মণ্ডল। তার দাবি, ‘‘রাজ্য স্তরে পাঁচ হাজারের মধ্যে থাকলেও জেলায় পোস্টিং দেয়নি। অথচ অনেক পিছিয়ে থাকা প্রার্থীরা জেলায় পোস্টিং পেয়েছেন। সিবিআই হয়তো আমাকে সাক্ষ্য হিসেবে ডেকেছে। আমি সব সত্যি বলব।’’