তৃণমূলের দলীয় অফিস। গোবরাপোতায়। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি হাসপাতালের জমিতে তৃণমূলের কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। প্রশাসনিক স্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেই কার্যালয় তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট ফাইল করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী। কলকাতা উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। যদিও সরকারি জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভীমপুর থানার গোবরাপোতা এলাকায় একটি সরকারি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে। সম্প্রতি সেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের জমিতে তৃণমূল কার্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাতে আপত্তি করলেও তৃণমূল নেতৃ্ত্ব গুরুত্ব না দিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন বলে অভিযোগ। মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি বলেন, “তৃণমূল সরকারি জমিতে পার্টি অফিস বানাচ্ছে। আদালত সেই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত মালাকার বলেন, “জায়গাটা পুরোপুরি হাসপাতালের। সরকারি জমিতে তৃণমূল নেতারা গায়ের জোরে পার্টি অফিস বানাচ্ছে। আমাদের আপত্তি কানে তোলেনি। আমরা স্বাস্থ্য দফতরকে লিখিত ভাবে জানালেও কোনও লাভ হয়নি। যে কারণে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।” তিনি বলেন, “এ ভাবে সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস বানাতে দেওয়া হবে না। আদালতের উপর আমাদের পুরো আস্থা আছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় লড়াই করে এটা আটকাব।”
তৃণমূলের কৃষ্ণনগর ১ ব্লক সভাপতি দেবব্রত ঘোষ বলেন, “আমরা হাসপাতালের জমি দখল করিনি। তাছাড়া প্রায় ১৪-১৫ বছর ধরে ওখানেই আমাদের একটা অস্থায়ী কার্যলয় ছিল। সেখানেই পাকা ঘর করা হচ্ছে। জোর করে নির্মাণের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”