বেসরকারি বাস ধর্মঘট বিষয়ে আলোচনার জন্য আজ, শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই বৈঠকেই জানা যাবে গত সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শুরু হয়েছে বাস ধর্মঘট উঠবে কি না।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে নবগ্রামের শিবপুর ও মেহেদিপুরের মাঝে এবং সুতি থানার চাঁদের মোড়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টোল আদায় করা নিয়ে বাস মালিকপক্ষের অসন্তোষ রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয় বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন। ধর্মঘটের ফলে বহরমপুর থেকে খড়গ্রাম ভায়া পলসণ্ডা-নবগ্রাম-পাঁচগ্রাম-নগর, বহরমপুর থেকে সাগরদিঘি, বহরমপুর থেকে রঘুনাথগঞ্জ, বহরমপুর থেকে মালদহ-বালুরঘাট-শিলিগুড়ি, বহরমপুর থেকে রামপুরহাট ভায়া মোড়গ্রামগামী সমস্ত বেসরকারি বাস বন্ধ রয়েছে।
ওই ধর্মঘটে চরম বিপাকে পড়েছেন বাস যাত্রীরা। ছোট লরি থেকে পারমিট নেই এমন সব গাড়ি এবং হাতেগোনা সরকারি বাসের উপরে নির্ভর করে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাঁদের। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক অরবিন্দ মিনা বলেন, ‘‘সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ মুর্শিদাবাদ আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক এহেসান আলি জানান, ওই বৈঠকের চিঠি পাঠিয়ে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনকে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য অনুরোধও করা হয়েছে।
কিন্তু বাস মালিক সংগঠন এখনও বাস ধর্মঘটের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। যদিও বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে তপন ত্রিপাঠি জানান, ওই বৈঠকের চিঠি পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু বাস ধর্মঘটের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের বাস মালিক সংগঠনের পাশাপাশি মালদহ, বীরভূম জেলা বাস মালিকও জড়িত রয়েছে। ফলে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তপনবাবু বলেন, ‘‘বৈঠকে কী ধরনের আলোচনা হচ্ছে দেখি। তারপরে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে বাস ধর্মঘট উঠবে কি না সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’