—প্রতীকী ছবি।
ধুলো ও সামান্য কুয়াশায় কমে এসেছিল দৃশ্যমানতা। হঠাৎ সামনে চলে আসা একটি ছোট গাড়িকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হল একটি যাত্রিবাহী বাসের। জাতীয় সড়কে গতিবেগ বেশি থাকায় লরি ও যাত্রিবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসের সামনের অংশ। ঘটনায় আহত শিশু-সহ মোট ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১১ জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের হরিণঘাটায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বহরমপুর থেকে কলকাতা যাচ্ছিল যাত্রিবাহী বাসটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাসটির গতিবেগ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল। বিরহী বাজারের কাছে বাসের সামনে একটি গাড়ি চলে আসে। সেটাকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরিতে ধাক্কা মারে যাত্রিবাহী বাসটি। দুর্ঘটনাটি ঘটে আইসপুর পেট্রল পাম্পের সামনে। যাত্রীদের চিৎকার ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে।
ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় শিশু-সহ ২৬ জন গুরুতর আহত হয়। তাঁদের বিরহী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ১০ জনকে করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। দুর্ঘটনার জেরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। স্থানীয় পুলিশ এসে যান নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিক করে। বাসের যাত্রী আহত অমরেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘সকালের দিকে চোখে প্রায় ঘুম ঘুম ছিল। রাস্তার ধুলোতে আর কুয়াশায় বেশি দূর কিছু দেখা যাচ্ছিল না। হঠাৎ করে ঝাঁকুনিতে ছিটকে পড়ে গেলাম। কপাল ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে আর কিছু বলতে পারব না।’’