সীমান্ত-বন্ধু। নিজস্ব চিত্র
অবিরাম বৃষ্টিতে গোয়ালের বাইরে রাখা নাড়া ভিজে গিয়েছে। গরু গুলো খাবে কী? তাই মাছ ধরে ফেরার পথে নৌকা চরে ভিড়িয়ে ঘাস কাটছিলেন ভগবানগোলার চরলবণগোলার মতিউর রহমান। ঘাস কাটার সময়ে তাঁর পায়ে ছোবল মারে চন্দ্রবোড়া সাপ। চিৎকার করে ওঠেন মতিউর। চিৎকার করে ওঠেন মতিউর। ওই সময় চরের জিরো পয়েন্টে থাকা কর্তব্যরত বিএসএফের দুই জওয়ান ছুটে এসে মতিউরকে পায়ে বাঁধন দেন। বাকিটা এক ঘণ্টার এক যুদ্ধকালীন তৎপরতা। যা একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিল সীমান্তরক্ষার পাশাপাশি প্রান্তিক গ্রামের মানুষের কাছেও কী প্রবল ভরসার স্থল এই বিএসএফ কর্মীরা।
বিএসএফের স্পিডবোটে নদী পেরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মূল ভূখণ্ডে। সেখানে তৈরি ছিল আধাসেনার জিপসি। প্রায় ঝড়ের গতিতে সেই জিপসি মতিউরকে নিয়ে উড়তে থাকে হাসপাতালের দিকে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে বিএসএফের কর্মীরাই নিয়ে আসেন বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই সর্পদষ্টকে তাড়াতাড়ি নিয়ে আসায় তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। সোমবার দুপুরের ওই ঘটনা সম্পর্কে চরলবনগোলার বিএসএফ কমান্ডান্ট অভিজিৎ শেঠ বলেন, ‘‘বিএসএফ শুধু দেশের সীমান্ত প্রহরা দেয় না, দেশের মানুষকে বাঁচানো-ও তাদের কাজ। তাই এটা কোনও মহান কাজ নয়, আমাদের যা কর্তব্য তাই করেছি আমরা।’’
চরলবণগোলার বাসিন্দা মতিউর পেশায় মৎস্যজীবী প্রতি দিন সকালে পদ্মায় মাছ ধরে বিকেলের দিকে মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সোমবার ঘাস কাটার সময় চরের বালিতে লুকিয়ে থাকা সাপ তাঁর পায়ে ছোবল মারে। তার পরেই বিএসএফ তাঁর দায়িত্ব নিয়ে নেয়। দুই জওয়ান ছুটে গিয়ে মতিউরের পায়ে বাঁধন দেন। তারপর তাঁরা খবর পাঠান চরলবণগোলা বিএসএফ ক্যাম্পে।