সাইকেলের টায়ার খুলতেই বেরোয় একের পর এক সোনার বিস্কুট। —নিজস্ব চিত্র।
অভিনব কায়দায় পাচারের বুদ্ধি বের করেও হল না শেষরক্ষা। সাইকেলের চাকার মন্থর গতি দেখে সন্দেহ হওয়াতেই পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরলেন বিএসএফ জওয়ানরা। সাইকেলের টায়ার খুলতেই বেরল একের পর এক সোনার বিস্কুট। মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর ৩৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে পাকড়াও ওই পাচারকারীর নাম আনিকুল ইসলাম। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য ধৃতকে লালগোলা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে এক জন চাষির বেশে মাঠ থেকে ফিরছিলেন আনিকুল। সেই সাইকেল নিয়ে চলার সময় তাঁর দিকে নজর পড়ে কয়েক জন জওয়ানের। কারণ, সাইকেলের চাকার গতি। এত ধীরে ধীরে কেন সাইকেল গড়াচ্ছে, সন্দেহ হয় জওয়ানদের। আনুকুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। সাইকেলের চাকার হাওয়া খুলতে গিয়েই থমকে যান জওয়ানরা। টায়ার থেকে যে হাওয়াই বার হয় না।
এর পরই টায়ারটি বের করে আনা হয়। দেখা যায়, দুটি চাকার টায়ারের ভিতরে রয়েছে মোট ৮টি সোনার বিস্কুট। যার দাম প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা। পাচারের এমন অভিনব এই পন্থা দেখে চোখ কপালে ওঠে জওয়ানদের।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জলঙ্গি থানা এলাকা পাচারকারীদের অন্যতম করিডোর হয়ে উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, তিনি বাংলাদেশের এক পাচারকারীর কাছ থেকে সোনার বিস্কুট নিয়ে আসাদুল নামে মুর্শিদাবাদের এক পাচারকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ছক কষেছিলেন। সোনা পাচার সফল হলে নগদ ৫ হাজার টাকা পেতেন আনিকুল। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেই একই কায়দায় সাইকেলের টায়ারের ভিতরে সোনা এবং রুপো ঠুসে পাচার করতে গিয়ে বেশ কয়েক জন পাচারকারী ধরা পড়েন।
এই ঘটনা নিয়ে বিএসএফ ডিআইজি (দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ার) একে আর্য বলেন, ‘‘সীমান্ত পেরিয়ে পাচারের নিত্যনতুন কৌশল ভেঙে পাচার আটকে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন আমাদের জওয়ানরা।’’