এই স্কুলেই মজুত করা বোমায় আচমকা বিস্ফোরণ হয়। — নিজস্ব চিত্র।
গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে আচমকাই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। ধোঁয়ায় ঢাকল গোটা এলাকা। অতিরিক্ত তাপমাত্রার জেরে রোদের তাপে তেতে উঠে মজুত বোমা ফেটে যায় বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। পর পর বিস্ফোরণে আতঙ্ক।
শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানা এলাকার ছেতিয়ানি ঘোষপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পর পর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে স্থানীয়দের দাবি। বিস্ফোরণের জেরে হতাহতের কোনও খবর নেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রবিবার ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থলে আরও বোমা মজুত আছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
রেজিনগর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মিন্টু সিংহ রায় বলেন, ‘‘স্কুলের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় কী ভাবে এত বোমা এল? বাইরে থেকে লোক এসে বোমা বেঁধে চলে যাচ্ছে, আর পুলিশ কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে? দেখেও কেউ দেখছে না কারণ, এরা সবাই তৃণমূল আশ্রিত।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক চেয়ারম্যান নিয়ামত শেখ বলেন, ‘‘ভোটের আগে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে বোমা মজুত করেছে কংগ্রেসের মস্তান বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাথমিক স্কুলের পিছনে একটি জায়গায় কিছু সুতলি বোমা এবং সকেট বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল। সারা দিন রোদের তাপে সেই বোমাগুলি গরম হয়। তার পর রাতে আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে। একটি বোমা ফাটতেই পর পর আরও দু’টি বোমাও ফেটে যায়। তাতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে, ১৭ এপ্রিল, রেজিনগরের নাজিরপুর পশ্চিম পাড়ার একটি কাঠকলের পেছনে মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণ হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের একই থানা এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।