মৃতের পকেট থেকে একটি হাতে লেখা কাগজও উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার করিমপুর এলাকায়। মৃত যুবকের নাম প্রবীর সিংহ রায় (৩০)। বাড়ি করিমপুর থানার আনন্দপল্লি এলাকায়। এই নিয়ে ওই পরিবারে মোট চার জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। মৃতের পকেট থেকে একটি হাতে লেখা কাগজও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই কাগজটিতে মাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীররা চার ভাই-বোন। দুই ভাই আর দুই বোন। এই চার ভাইবোনেরই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এক বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আর এক বোনের মৃত্যু হয় আগুনে পুড়ে। দাদা নিখোঁজ ছিল পাঁচ বছর। ফিরে আসার কিছু দিন পরেই গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হল প্রবীরের ঝুলন্ত দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া কাগজে নিজের মৃত্যু ও বাবার নিখোঁজের জন্য মাকেই দায়ী করা হয়েছে। ওই কাগজের লেখা, কার তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, ‘‘পকেট থেকে একটা হাতে লেখা কাগজ উদ্ধার হয়েছে। সেই কাগজে লেখা কার, তা তদন্ত করা হচ্ছে।’’