—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে নিজেদের সংগঠনকে আরও গুছিয়ে নিতে, শক্তিশালী করতে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। এ বার সেই তালিকায় জুড়ল বুথ সশক্তিকরণ। বুথস্তরে সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে নামছে গেরুয়া শিবির বিজেপি। এই অভিযানে নিচুতলায় দলের বুথ সংগঠনের হাল খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তাকে মজবুত করে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
লোকসভা এবং বিধানসভার ভোটে সাফল্য এসেছে বটে। তবে নিচুতলায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা বারবার চিন্তায় ফেলছে পদ্ম শিবিরকে। বহু জায়গাতেই দলের বুথ কমিটি ছিল না সেভাবে। আবার কোথাও কোথাও কমিটি থাকলেও দুর্বলতা ছিল অনেকাংশে। এর মধ্যেই লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে সাফল্য এসেছে নদিয়ার দক্ষিণ অংশে। তৃণমূলকে অনেক পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে তারা। কিন্তু ধাক্কা খেতে হয়েছে পুরভোটে। পঞ্চায়েত ভোটে কয়েক জায়গায় তারা ছাপ ফেলতে পারলেও লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের মতো ফল পায়নি। নদিয়ার দক্ষিণে একটি পঞ্চায়েত সমিতি, পাঁচটি জেলা পরিষদ আসন এসেছে তাদের দখলে। হাতে এসেছে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে যে দাপট দেখা গিয়েছিল পদ্মের তা কিন্তু দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। পঞ্চায়েত এবং পুরভোট যেহেতু নিচুতলার সংগঠনের উপর ভর করে লড়তে হয় সেখানে নিচুতলায় সাংগঠনিক দুর্বলতা অনেক জায়গাতেই বিজেপির ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
সে কথা মাথায় রেখেই লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে এবার বুথস্তরের সংগঠন মজবুত করতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কোথায় কোথায় বুথস্তরে সংগঠনে খামতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বুথ কমিটিগুলিকেও নতুন করে ঢেলে সাজার কাজ শুরু হয়েছে। বুথস্তরে দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয়তা বাড়ানোর উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। কমপক্ষে ১১ এবং সর্বোচ্চ ৩১ জন সদস্য নিয়ে তৈরি হচ্ছে বুথ কমিটি। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় গ্রামীণ এলাকায় বিজেপি জনপ্রতিনিধির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্ত জায়গায় জনসংযোগ এবং বুথের শক্তি বৃদ্ধিতে তা সহায়ক হবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বুথস্তরে আমাদের সংগঠনকে ঢেলে সাজার কাজ চলছে। অনেক জায়গাতেই আমাদের শক্তি বেড়েছে। নিচুতলার সংগঠনে আমরা আরও বেশি করে জোর দিচ্ছি।"বিজেপির এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। নদিয়া জেলা পরিষদের তৃণমূলের পরিষদীয় নেতা দীপক বসু বলেন, ‘‘নিচুতলায় বিজেপির লোক কোথায় যে সংগঠন হবে! কিছু জায়গায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তারা সংগঠন তৈরির চেষ্টা করেছিল বটে। তবে বুঝতে পেরে মানুষ এখন সরে গিয়েছে।"