স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে রাস্তায় বসে পড়েন চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। ২১জুলাই ২০২৩। ছবি সৌমিত্র সিকদার
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা পাশে পেলেন বিজেপি বিধায়ককে।
টাকা তছরুপের প্রতিবাদে এবং টাকা ফেরতের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা। শুক্রবার দুপুরে চাকদহের বিষ্ণুপুর বাজারে চাকদহ-বনগাঁ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তাঁরা রাস্তার উপর বসে পড়েন এবং টাকা ফেরতের দাবি জানাতে থাকেন।
সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। তিনি অবরোধ দেখে গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভের কারণ জানতে চান এবং সব শুনে গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে রাস্তায় বসে পড়েন। বিক্ষোভে যোগ দিয়ে তিনি তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
বঙ্কিমের কথায়, ‘‘আন্দোলনরত মহিলাদের কাছে জানতে পারি, কমবেশি ৬ কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে। এর সঙ্গে অনেকে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে। আমি এদের আন্দোলনে পাশে থাকব।’’
বঙ্গীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বিষ্ণুপুর শাখায় ১৩৭টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। পশুপালন, চাষবাস, সেলাই-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ওই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। কয়েক দিন আগে তাঁদের কয়েক জন সদস্য ব্যাঙ্কের বই ‘আপডেট’ করতে গিয়ে দেখেন, এতদিন তাঁরা ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা দিয়েছিলেন, সেটা জমা পড়ে নি। এটা জানার পর থেকেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
টাকা তছরুপের প্রতিবাদে এবং তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার দুপুর দু’টো থেকে চাকদহ থানার বিষ্ণুপুর বাজারে রাস্তা অবরোধ করেন একাধিক গোষ্ঠীর সদস্যেরা। ওদের অবরোধের ফলে চাকদহ-বনগাঁ রাজ্য সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দু'ধারে সারি দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। তবে,জরুরি পরিসেবাকে অবরোধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। এর আগে বঙ্গীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বিষ্ণুপুর শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কর্মীরা সেখানে আটকে পড়েন। ঘন্টা দু’য়েক পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে চাকদহের বিডিও অতনু ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে প্রায় চার ঘণ্টা পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।