সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র
সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এতদিন নানা অভিযোগ শোনা যেত। তবে করোনা-আবহে তাদের অধিকাংশেরই চেহারাটা রাতারাতি বদলে গিয়েছে।
যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে ধুঁকত, এখন সেগুলিই নতুন চেহারায় ফিরেছে। এমনই এক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভরতপুর-২ ব্লকের টেঁয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাসদেড়েক আগেও ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহে তিন কী চার দিন চিকিৎসক বসতেন। আর দু’দিন পাওয়া যেত একজন হোমিয়োপ্যাথকে। কিন্তু করানোর আতঙ্ক এমনই ছড়িয়েছে যে রোগীর ভিড় সামাল দিতে সেখানে সপ্তাহে ছ’দিন চিকিৎসক পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। একই সঙ্গে হোমিয়োপ্যাথ চিকিৎসক যেমন দু’দিন আসতেন তেমনই আসছেন। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, আগে সপ্তাহে তিন দিন একজন ফার্মাসিস্ট ও নার্স স্বাস্থ্যকেন্দ্র সামলাতেন। ওইদিনগুলিতে কোনও গুরুতর অসুস্থ রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে তাঁকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হত। এ নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভও ছিল।
বাবলা নদীর ধারে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দা চিকিৎসার জন্য আসেন। বৈদ্যপুর, কৈগুড়ি, নওয়াপাড়া, ঘোষপাড়া, কোড়গ্রাম, মাধাইপুর, কেচুনিয়ার বাসিন্দারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বর্তমান পরিষেবায় খুশি। তবে করোনার আতঙ্কে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত কয়েকদিনে রোগীর সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে বলে খবর। স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, এখন নিয়মিত শ’ দেড়েক রোগী আসছেন। টেঁয়া থেকে সালার গ্রামীণ হাসপাতালের দূরত্ব ১০ কিমি। লকডাউনের পর্বে হাতের কাছেই সপ্তাহে ছ’দিন চিকিৎসক মেলায় গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়ার হিড়িকও আগের চেয়ে কমেছে। তবে রাতেও চিকিৎসার সুযোগ চায় গ্রাম।