সুতপাকে খুনের আগেই বহরমপুরে পা সুশান্তের। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর উপর প্রথমে ‘সোর্স’ মারফত নজরদারি। খুনের আগে বেশ কিছু দিন ধরে এলাকায় রেইকি। কয়েক মাস ধরে এমন নানা কার্যকলাপ চালানোর পর ‘আসল’ কাজ সারতে বেশ কয়েক দিন আগে ময়দানে নেমেছিল সুশান্ত চৌধুরী। সে আশ্রয় নিয়েছিল বহরমপুরে। তদন্তকারীদের দাবি, পুলিশ হেফাজতে প্রাথমিক ‘জড়তা’ কাটিয়ে সুতপাকে খুন নিয়ে একের পর এক তথ্য উগরে দিচ্ছে সুশান্ত।
তদন্তকারীদের দাবি, বুধবার রাতে জেরা পর্ব চলার সময় কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই বেশ কিছু নতুন তথ্য সামনে এনেছে সুশান্ত। সোমবার সন্ধ্যায় সুতপাকে খুন করেছিল সে। সুশান্ত জানিয়েছে, খুনের বেশ কয়েক দিন কয়েক আগেই সে শহরে পা রেখেছিল। সে আশ্রয় নিয়েছিল বহরমপুর শহরের একটি মেসে। মাঝে এক দিন কাটিয়ে সোমবার সন্ধ্যার সময়টাকেই ‘আসল’ কাজ সারার জন্য বেছে নেয় সে। সুতপাকে খুনের জন্য তৈরি হয়েই বহরমপুরের ওই মেসে ঢুকেছিল। ‘কাজ সারা’র পর আবার ওই মেসে ফিরে যায় সে। এর পর সে গাড়ি পাল্টে পাল্টে সে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষে। ওই মেসেই সুশান্ত বদলে নেয় সুতপার রক্তমাখা টি শার্টও।
তবে বহরমপুরে কার মেসে সে আশ্রয় নিয়েছিল, তা নিয়ে একটি কথাও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বলেনি সুশান্ত। বরং সেই প্রশ্ন করলে সে এড়িয়ে গিয়েছে। তবে তদন্তকারীরা আশাবাদী, সুশান্তর এই ‘জড়তা’ও কেটে যাবে দ্রুত।