প্রতীকী ছবি।
সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে ছ’টি হাতছাড়া হয়েছে দলবদলের জেরে। বাকি একটিতে এ বারও মাটি কামড়ে লড়ছে সিপিএম।
নদিয়ার চাকদহের ব্লকের হিংনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত চল্লিশ বছরে এক বার বাদে সব সময়ে বামেদের দখলেই থেকেছে। ২০০৮-এ ক্ষমতাচ্যুত হলেও গত বার ২০টি আসনের মধ্যে ১৪টি জিতে তারা বোর্ড দখল করে। এ বার সেগুলির সব ক’টিতে প্রার্থী দিতে না পারলেও ১৪টি আসনে তারা লড়ছে। জেলায় এই লড়াইকে ‘মডেল’ হিসেবে তুলে ধরছে সিপিএম।
তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে সব আসনে। কিন্তু গোষ্ঠী-কোন্দলের জেরে তিনটি আসনে তাদের দু’জন করে প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছেন। যার দু’টি আসনে সিপিএম লড়ছে। এবং সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই তাদের ভরসা। তৃতীয় আসনে লড়ছে বিজেপি। জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত অবশ্য বলেন, ‘‘এর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। দলকে ভালবেসে অনেকে প্রার্থী হতে চেয়েছেন। দল যাঁদের বেছে নেবে, তাঁরাই থাকবেন।’’ ওই পঞ্চায়েতে সিপিএমের নির্বাচনী আহ্বায়ক অজয় দাসের দাবি, “আরও তিনটি আসনে প্রার্থী দিতে পারতাম। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে পারি নি। সাংগঠনিক শক্তি না থাকায় বাকি তিনটি আসনে আমরা স্বেচ্ছায় প্রার্থী দিইনি। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে আমরা ফের জিতব। এটা জানে বলেই তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে।”
বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা মণ্ডলের অভিযোগ, “মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য ফোন করে চাপ দেওয়া হচ্ছে। করছি-করব বলে কাটাচ্ছি।” তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, পাঁচ বছর তারা যে ভাবে বিরোধী সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছে, তার জোরেই তারা জিতে ফিরবেন। বিদায়ী উপপ্রধান অমূল্য মণ্ডলের দাবি, “গ্রামসভায় সকলের মত নিয়েই কাজ করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে কোনও দল কোনও অভিযোগে স্মারকলিপি দেয়নি।”
রাজ্য জুড়ে শক্তিবৃদ্ধি করা বিজেপি হিংনাড়া পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারা কত ভোট পাচ্ছে বা কত ভোট কাটছে গোঁজ-কাঁটা, পঞ্চায়েতের ভাগ্য নির্ভর করছে তার উপরেও।