Juranpur

জনসংযোগ লক্ষ্য, যাত্রায় পুলিশকর্মীরা

গ্রামে সমন্বয় কমিটি তৈরি করে গ্রামের মানুষ ও পুলিশ মিলে মিশে সারা রাতব্যাপি যাত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

Advertisement

সন্দীপ পাল 

কালীগঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০১:১১
Share:

অভিনেতা: কালীগঞ্জে পুলিশকর্মীদের যাত্রাভিনয়। নিজস্ব চিত্র

পুলিশের নাম শুনলেই অধিকাংশ মানুষের মনে কেমন একটা ভীতি তৈরি হয়। তাই পুলিশের কাছে গিয়ে নিজেদের সমস্যা জানাতে অনেকেই ইতস্তত বোধ করেন। বিষয়টি বেশ কিছু দিন ধরে ভাবাচ্ছিল কালীগঞ্জ থানার জুরানপুর ফাঁড়ির পুলিশ কর্তাদের।

Advertisement

এমনিতে নদিয়া ও বর্ধমানে সীমান্তবর্তী এই এলাকায় সাম্প্রদায়িক অসৌজন্যের ইতিহাস রয়েছে। তার থেকে বিভিন্ন ঝামেলা লেগেই থাকে এলাকায়। ডুরানপুর ফাঁড়ির কর্তারা ঠিক করেন, এমন কিছু করতে হবে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির তৈরি করতে পারে গ্রাম আর পুলিশের সঙ্গে গ্রামের মানুষের সহজ সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিনব এক পরিকল্পনার শুরু সেখান থেকেই। যাত্রায় অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন পুলিশ আধিকারিকেরা। গ্রামে সমন্বয় কমিটি তৈরি করে গ্রামের মানুষ ও পুলিশ মিলে মিশে সারা রাতব্যাপি যাত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি গ্রামের মানুষ। জুরানপুর ফাঁড়ির আধিকারিক গৌতম সরকার সবাইকে রাজি করান। পুলিশের তরফ থেকে গৌতমবাবু-সহ আরও দু’ জন এই যাত্রায় অংশ নেন। যাত্রা অনুষ্ঠিত হয় গত সোমবার সন্ধ্যায়। যাত্রাপালার নাম ছিল, ‘এ কেমন সভ্য সমাজ।’ এই যাত্রায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল পুলিশ ও সমাজের মেলবন্ধন। দেখানো হয়েছে সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধন এবং সমাজবিরোধীরা কী ভাবে সমাজ নষ্ট করছে ও পুলিশ কী ভাবে তাদের শায়েস্তা করছে, সে সবও।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা তথা যাত্রার অন্যতম অভিনেতা সমীরণ দে বলেন, ‘‘পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ গ্রামবাসীর ভীতি কাটাতে ও সকলের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে পুলিশের এই প্রয়াস সাধুবাদ পাওয়ার মতো।’’

স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য আব্দুল ডালেম শেখ বলেন, ‘‘পুলিশ এত বড় অনুষ্ঠান করছে আমরা আগে কখনও দেখিনি। ওদের প্রতি শ্রদ্ধা

আরও বাড়ল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement