Abhishek Banerjee

ভোট দিচ্ছে সিপিএম, অভিযোগে ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড় তৃণমূল কর্মীর! অভিষেকের সভায় বিশৃঙ্খলা

সোমবার বড়ঞা বিধানসভার কুলির ইন্দিরা মাঠে অভিষেকের সভার পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তখনই বিবাদ বাধে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতি হল যে মাঠে নামে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ২৩:০২
Share:

অভিষেক সিতাইয়ের গোসানিমারিতে সভাস্থল ছাড়তেই ব্যালট বক্স লুট হয়ে যায়। একই ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদের বড়ঞাতেও। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের প্রার্থী পছন্দের ভোট। সেখানে নাকি ভোট দিচ্ছেন সিপিএম কর্মীরা। নাম আছে কংগ্রেস নেতৃত্বের। কিন্তু তাঁদের কারও নাম নেই। এমনই অভিযোগে মুর্শিদাবাদের কুলিতে অভিষেকের অধিবেশনের পরই ব্যালট বাক্স নিয়ে চম্পট দিলেন একদল তৃণমূল কর্মী। আর সেই ব্যালট বাক্স ছিনতাইতে নেতৃত্ব দিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী গোলমদন মাঝি। এমনটাই অভিযোগ দলের বিরোধী গোষ্ঠীর। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এ নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদে।

Advertisement

সোমবার বড়ঞা বিধানসভার কুলির ইন্দিরা মাঠে অভিষেকের সভার পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তখনই বিবাদ বাধে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। ভরতপুরের আলুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, গালিগালাজ শুরু হয়। তার পর ব্যালট বাক্স নিয়ে চলে যান কয়েক জন। বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রুণু ঘোষের দাবি, ‘‘ফোন গিয়েছিল ভোট দেওয়ার জন্য। কিন্তু লিস্টে সেই সব নাম নেই।’’ তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাংশের দাবি, ‘‘বাম, কংগ্রেস, বিজেপি কর্মীদের নাম এসেছে লিস্টে। কিন্তু পুরোনো তৃণমূল কর্মীদের নাম নেই।’’ এ নিয়ে বড়ঞা ব্লক সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল কর্মীরা।

অন্য দিকে, কালো গ্রাম অঞ্চল সভাপতি নিসারউদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে ভোট বানচালের চেষ্টার অভিযোগ করেন ৩ নম্বর বুথ সভাপতি রাজু শেখ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘নিজেদের মনমতো প্রার্থী করতে পারবে না দেখে সমস্ত ভোট প্রক্রিয়াটাই নয়ছয় করতে চাইছে।’’ দলের নেতাকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এদের হাতে পঞ্চায়েতের ভার গেলে মানুষের অবস্থা কী হবে এক বার ভাবা দরকার।’’

Advertisement

ভোটগ্রহণের কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়েছিল। ভোটার তালিকায় নাম না থাকার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একদল কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু পারেননি। শেষমেশ মাঠে নামতে হয়েছে পুলিশকে। ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের জজান গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট চলার সময়ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিবাদ দেখা গিয়েছে। সেখানকার পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বজিত বাগদি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী গোলমদন মাঝি, সায়ার আলি শেখ এসে অশান্তি করেছে। সায়ার নামের এক তৃণমূল কর্মী ব্যালট বাক্স নিয়ে চম্পট দেন।’’

কাদের প্রার্থিপদে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা নিয়ে স্বচ্ছতা আনার জন্য গোপন ব্যালটে ভোট করাতে উদ্যোগী হয়েছেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু হয়েছে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। সেই ভোট ঘিরে আগেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়েছে কোচবিহারের সিতাইয়ের গোসানিমারিতে। দেখা গিয়েছে, অভিষেক সভাস্থল ছাড়তেই ব্যালট বক্স লুট হয়েছে। মারামারি, ভাঙচুর— কিছুই বাদ যায়নি। একই ছবি দেখা গেল মুর্শিদাবাদেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement