Awas Yojana Survey

জেলায় সবচেয়ে বেশি কাঁচা বাড়ি রয়েছে সাগরদিঘিতে

সমীক্ষায় অবশ্য বাদ পড়েছে সাগরদিঘির ৭,৭৮৭ জনের নাম। সেই কারণে তাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন না। সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, এঁদের প্রায় ৯৯ শতাংশের পাকা বাড়ি রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাঁচা বাড়ির খোঁজ মিলল সাগরদিঘিতে। দু’দিন আগেই জেলা প্রশাসন বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করে আবাসের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই সমীক্ষায় সাগরদিঘিতে ১৭,০৯৯টি আবেদনকারী পরিবারের কাঁচাবাড়ির সন্ধান পেয়েছেন সমীক্ষকেরা। জেলার মধ্যে এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

সমীক্ষায় অবশ্য বাদ পড়েছে সাগরদিঘির ৭,৭৮৭ জনের নাম। সেই কারণে তাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন না। সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, এঁদের প্রায় ৯৯ শতাংশের পাকা বাড়ি রয়েছে। সামান্য কয়েক জন বাদ পড়েছেন আয় বেশি থাকা, একবার পাকা বাড়ি পেয়েছেন বলে অথবা তাঁদের আড়াই-তিন একর জমি রয়েছে বলে। এই সব ব্যক্তির তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এই সংখ্যায় জেলায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাগরদিঘি। আবেদন করেও নিষ্ক্রিয় হিসেবে নাম রয়েছে ১,৪০৫ জনের। এই সংখ্যাও জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ। এঁদের মধ্যে কারও অস্তিত্ব নেই, কেউ দ্বিতীয় বার আবেদন করে বাদ পড়েছেন, কেউ আবার এই ব্লকে থাকেনই না। বলরামবাটীর ঝন্টু মণ্ডল, শঙ্কর রাজমল্ল, চাঁদপাড়ার কৃষ্ণা মুর্মু, মাহালি হাঁসদা, মিস্ত্রি বেসরা, মোতিলাল বেসরা, অর্জুন বেসরার মতো অনেকেরই গ্রামে গিয়ে খোঁজ পাননি সমীক্ষকেরা।

রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামানের বিধানসভা কেন্দ্রে সমীক্ষায় কাঁচাবাড়ির সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে ১০,২৬৯টি। জেলার মধ্যে এই সংখ্যা চতুর্থ। নাম বাদ পড়েছে ৪,৮২০ জনের। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী সবচেয়ে কম কাঁচাবাড়ি রয়েছে সুতি ১ ব্লকে (১,২৫১টি)। আবেদন করেও অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন ওই ব্লকের ৪৬৫ জন। নিষ্ক্রিয় পরিবার তিন।

Advertisement

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য জ্যোতিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের মধ্যেও পাকা বাড়ির মালিক রয়েছেন অনেকেই। আবার কাঁচা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম ওঠেনি, এমনও আছে। আসলে এতদিন এই সুবিধা নিয়েছেন শাসক দলের কিছু অসাধু কর্মী। সব কাটমানির খেলা। আমরা আগামী ৩ ডিসেম্বর দুর্নীতির খতিয়ান নিয়ে বিডিও-র কাছে যাব।’’’ কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘সাগরদিঘি বরাবর তৃণমূলের দখলে। পঞ্চায়েতগুলিও তাদের নিয়ন্ত্রণে। তবু এত কাঁচা বাড়ি থাকার দায় তো তাদেরই। এখনও তালিকায় যোগ্য বলে নাম রয়েছে পাকা বাড়ির বাসিন্দা এক তৃণমূল সদস্য ও তাঁর আত্মীয়ের।”

তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান অবশ্য বলেন, “সাগরদিঘিতে ১১টি পঞ্চায়েত। বড় এলাকা। জনজাতি পরিবার রয়েছে অনেক। তাই সবচেয়ে বেশি কাঁচাবাড়ি এই ব্লকে থাকা স্বাভাবিক। এখনও তালিকায় নাম নেই কিছু পরিবারের। পরবর্তী কালে তাদের আবাসের বাড়ি
দিতে হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement