Chilly Winter at Maurshidabad

জাঁকিয়ে শীত, হাজিরা কম বিদ্যালয়ে

শীতের দাপটে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পঠনপাঠনের শুরুর সময় আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২২
Share:

গত কয়েক দিন ধরে জেলায় জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কমে। সকালে দিকে তাপমাত্রা থাকছে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির আশেপাশে। তার সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। পাল্লা দিয়ে বইছে উত্তুরে হাওয়াও। কোনও কোনও দিন অনেক বেলা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। সোমবার দিনভর জেলার অধিকাংশ জায়গায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সকাল ও সন্ধ্যায় লোকজনের চলাচল কমেছে অনেকটাই। এই ঠান্ডায় বিদ্যালয়ে হাজিরাও কমেছে রাতারাতি।

Advertisement

শীতের দাপটে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পঠনপাঠনের শুরুর সময় আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। হরিহরপাড়ার এক বেসরকারি বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, “শীতের কারণে সকালে ক্লাস শুরুর সময় আধ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হার কিছুটা কমেছে।” শীতে জবুথবু অবস্থা পড়ুয়াদেরও। যে সমস্ত বেসরকারি বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন সকালে হয় সেই সমস্ত বিদ্যালয়ে পড়ুয়া থেকে শিক্ষকেরা বেশি বিপাকে পড়েছে।

নওদার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “ শুক্রবার থেকে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার অনেকটাই কমেছে।” শীতবস্ত্র বিশেষ করে সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরে বিদ্যালয়ে আসছে অধিকাংশ পড়ুয়া। অনেক অভিভাবক সচেতন ভাবেই শিশুদের বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। মফসসল শহরের বা গ্রামাঞ্চলের বহু বিদ্যালয়ে বাস, টোটো, মারুতি ভ্যানে করে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ বিদ্যালয়ে আসে। হরিহরপাড়ার এক বেসরকারি বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মৃগাঙ্ক মণ্ডল বলেন, “শীতের পাশাপাশি কুয়াশাও রয়েছে। অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সচেতন করা হয়েছে। স্কুল গাড়ির চালকদেরও সচেতন করা হয়েছে।” সন্দীপ রানু নামে অভিভাবক বলেন, “সকালে স্কুল। ফলে বাড়তি সতর্কতা মেনেই ছেলেকে বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছি।” কুয়াশা থাকায় সকালে দৃশ্যমানতা অনেক কমেছে। কোনও কোনও গাড়ির ফগ লাইটও নেই। তাতে বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের চিকিৎসক সালাউদ্দিন হক বলেন, “এই সময়ে শিশুদের জ্বর, সর্দিকাশি, পেটে গন্ডগোল দেখা দিতে পারে। ফলে তাদের জব্য বাড়তি সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। যথাযথ শীতবস্ত্র দিয়েই তাদের বিদ্যালয়ে পাঠানো জরুরি।”

বিপাকে পড়েছেন কৃষিজীবীরাও। সকালে খেতের কাজ করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement