নিজস্ব চিত্র।
দশ দিন পরে বাড়ি ফিরলেন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে চাকদহ শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকজন বাড়ি ফেরেন। গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষিত হওয়ার পরেই তাঁরা এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাঁরা জানান, রাজ্যে দলের শোচনীয় ফল দেখে তাঁরা ভয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন। গিয়েছিলাম। তৃণমূল নেতাদের কথায় ভরসা পেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল ভোটের দিন চাকদহ শহরের তালতলায় রামলাল অ্যাকাডেমির নতুন ভবনের বুথ থেকে খানিকটা দূরে দফায় দফায় গন্ডগোল হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামতে হয়েছিল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য তা অস্বীকার করে। সে দিন ওই এলাকা থেকে অস্ত্র আইনে চাকদহ বিধানসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী কৌশিক ভৌমিককে পুলিশ প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করেছিল। তিনি এখন জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
সেই সময়ে বিজেপি কর্মীদের অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, তাঁদের দল রাজ্যের ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু ফল ঘোষণা হওয়ার পরে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল তৃতীয় বারের ক্ষমতায় ফিরছে। বিজেপির অভিযোগ, ওই দিন থেকেই চাকদহ শহরে তাদের কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে। সে দিনই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি কর্মীরা অন্যত্র চলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা ফিরেছেন।
বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের যুবনেতা তথা চাকদহ কেন্দ্রের পরাজিত প্রার্থী শুভঙ্কর সিংহ দাবি করেন, “আমরা সব সময়ে এলাকায় শান্তি চাই। সেই কারণে আমাদের কর্মীদের মারধর করে যে সব বিজেপি কর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলেন, আমরা চাই তাঁরা এ বার বাড়িতে ফিরে আসুন। এলাকায় শান্তি বজায় থাকুক।”
বিজেপি কর্মীদের একাংশের আক্ষেপ, আক্রান্ত হওয়ার সময়ে দলের নেতৃত্ব তাঁদের পাশে দাঁড়াননি। তবে চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের দাবি, “এই অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার, পুলিশ এবং প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলের কর্মীদের বাড়ি ফেরার বিষয়টি আমার জানা নেই।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “এখন শুনতে পাচ্ছি, যাদের ঘরছাড়া করা হয়েছিল বা দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তাদের বাড়ি ফেরা বা দোকান খোলার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে মোটা টাকা দাবি করা হচ্ছে।” তৃণমূল নেতারা অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।