তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ছেলের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার রাত আটটা নাগাদ বগুলা ১ পঞ্চায়েতের প্রধান তথা হাঁসখালি ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাসের ছেলে দীপঙ্কর গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে ভাইনা বাজারের কাছে ফাঁকা রাস্তায় আচমকা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। রাতেই বিমল বিশ্বাস-সহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনায় সামনে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। গুলি চালানোর অভিযোগ যাঁর দিকে সেই বিমল অভিযোগ মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই। ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’ অভিযোগকারী দুলালের দাবি, ‘‘বিমলের লোকেরা এর আগেও খুন করতে চেয়ে হামলা করেছিল। ঘটনায় ধৃতেরা পরে স্বীকারও করেছিল যে, বিমলের কথাতেই তাঁরা হামলা চালায়।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলালবাবু এক সময় সিপিএমের দাপুটে নেতা ছিলেন। বিমলবাবু ছিলেন কংগ্রেসের নেতা। প্রথম থেকেই দু’জনের মধ্যে শত্রুতা ছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে দু’জনেই শাসকদলে যোগ দেন। কিন্তু শত্রুতা কমেনি। স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, এরই মধ্যে বিমলের থেকে দুলালের প্রভাব বাড়তে শুরু করে এলাকায়। প্রধান হওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি ব্লক সভাপতি হয়েছেন। উল্টো দিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে গোষ্ঠী রাজনীতিতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন বিমল। এলাকার মানুষের দাবি, এঁদের পুরনো শত্রুতা রয়েই গিয়েছে।
তবে বুধবার রাতের এই ঘটনায় বিমল আদৌ যুক্ত কি না সে প্রশ্নও উঠছে। স্থানীয় একটি সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় ভাইনা বাজারে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশকর্মীকে মারধর করে এলাকার কিছু যুবক। সেই ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যেই হামলার নাটক করা হতে পারে। এমনটা অবশ্য মানেননি দুলাল।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সত্যি কোনটা, পুলিশ তদন্তে দেখবে।’’