আতমা-র সভা বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র।
স্থায়ীকরণ, বর্ধিতহারে বেতন বৃদ্ধি , ৬০ বছর বয়স পযন্ত কর্মনিশ্চিয়তা-সহ একাধিক দাবি দাওয়া নিয়ে রবিবার অ্যাগ্রিকালচারাল টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি(আতমা)-র কর্মী সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ, মুর্শিদাবাদ শাখার উদ্যোগে বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল বহরমপুরে।
২০১৪ সালে 'আতমা' কর্মচারীদের নিয়োগ করা হয়। কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করা ‘আতমা’ কর্মীদের মূল কাজ। নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের তোয়াক্কা না করে গত বছর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যখন প্রতি দিন বাড়ছিল তখনও তাঁরা পরিষেবা দিয়েছেন কৃষকদের।
অভিযোগ, কৃষি দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী বেশ কিছু মাস আগে ‘আতমা’ কর্মীদের বেতন খাতায়-কলমে বৃদ্ধি পেলেও, সেই বর্ধিত বেতন হাতে পাননি তাঁরা। ফলে তীব্র আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন অধিকাংশ কর্মী। আরও অভিযোগ, নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার এই সমস্ত কর্মীদের সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।
রবিবার এই সম্মেলনের আয়োজকরা বলেন, “রাজ্য সরকারের প্রায় সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা ৬০ বছর পর্যন্ত কর্মসুরক্ষার সুযোগ পেলেও ‘আতমা’ প্রকল্পের কর্মী যাঁরা রাজ্যের চাষিদের অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত তাঁরা সেই সুবিধা থেকে আজ পর্যন্ত বঞ্চিত। এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মীদেরদের বেতন যাতে সঠিক সময়ে হয় সেই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাচ্ছি।”
এ প্রসঙ্গে কৃষি দফতরের এক কর্তা বলেন, “যাবতীয় নিয়ম মেনে উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রার্থীদের ‘আতমা’র বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়। করোনা আবহে কাজ করে চললেও এখনও তাঁরা সরকারের স্বাস্থ্য বীমা যোজনার আওতার বাইরে।”