Murshidabad

বোমার পর বোমা পড়ল এলাকায়! তৃণমূল বনাম তৃণমূল যুদ্ধে উত্তেজনা শমসেরগঞ্জে, গ্রেফতার আট

স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে শমসেরগঞ্জ থানার গাজিনগর–মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহপাড়া গ্রামে এই বিবাদ শুরু হয়। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ ১৫:৫৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে তুমুল বোমাবাজি। আর তাতে জখম হলেন বেশ কয়েক জন। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে শমসেরগঞ্জ থানার গাজিনগর–মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহপাড়া গ্রামে এই বিবাদ শুরু হয়। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন মীর জালালুদ্দিন নামে ৩৬ বছরের এক তৃণমূল কর্মী। বোমার আঘাতে তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন। প্রথমে তাঁকে জঙ্গিপুর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে সোমবার ওই সংঘর্ষের শুরু। শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের অনুগামী এবং তৃণমূলের স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য আনারুল হক বিপ্লবের গোষ্ঠীর মধ্যে এক প্রকার যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সেই সময় এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল এবং পরে বোমা এবং গুলি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গাজিনগর–মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে গত কয়েক দিন শাসকদলের দুই পক্ষের ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল। গত ২১ জুন ওই দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে মহব্বতপুর গ্রামে নুর ইসলাম শেখ নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজিনগর–মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজির সময় তৃণমূল বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচিত মীর জালালউদ্দিন ওরফে ডাকু নামে এক তৃণমূল কর্মীর পায়ে বোমার আঘাত লাগে। গ্রামে উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। অশান্তি নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।’’ অন্য দিকে, এই বোমাবাজি, বিতণ্ডা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement