—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভূত চতুর্দশীর রাতে বসেছিল জুয়ার আসর। জমে উঠেছিল রাউন্ডের পর রাউন্ড। রাউন্ড যত গড়িয়েছে তত উড়েছে টাকা। মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জে বেশ কয়েকটি ঘুপচি ঘরে এভাবেই চলছিল জুয়ার ঠেক। হঠাৎ বাধ সাধল পুলিশ। অতর্কিতে হানায় কোথাও পালানোর পথ পাননি। পুলিশের হাতে গ্রেফতার ১১ জন জুয়াড়ি। রবিবার, কালীপুজোর দিন ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ভূত চতুর্দশীর রাতের সমশেরগঞ্জের ভবানীবাটি হাটের আমবাগানে চলছিল জুয়া খেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই বাগানে হাজির হয় পুলিশ। তার পর গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১১ জন জুয়াড়িকে। তাঁদের কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার ৩৫০ টাকা পাওয়া যায়। সেগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের দাবি, তাদের কাছে আগেই খবর ছিল যে, আমবাগানে জুয়ার আসর বসবে। তাই জুয়াড়িদের উপর নজরও রাখা হচ্ছিল। আসর জমতেই সেখানে হানা দেয় পুলিশ বাহিনী। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ১১ জন জুয়াড়িকে।
উল্লেখ্য, দিন পনেরো আগে লক্ষ্মী পুজোর রাতেও সমশেরগঞ্জের তালতলা সাহেবনগর এলাকা থেকে মোট ২১ জন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার রাতের ঘটনা নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জুয়ার ঠেকে হানা দিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’