Farakka PS

বালিকাকে যৌন হেনস্থা এবং বস্তাবন্দি করার ‘মূলচক্রী’ গ্রেফতার, ফরাক্কা-কাণ্ডে ধৃত মোট দুই

গত ১৩ অক্টোবর ঘটনার দিন নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা এবং খুনের সময় মূল অভিযুক্তের বাড়িতে আরও এক জন ছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে জেরা করে দ্বিতীয় জনের খোঁজ পান তদন্তকারীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:০৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় নাবালিকার যৌন নির্যাতন এবং খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের বাড়ি ফরাক্কা থানার রেল কলোনি এলাকায়। নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনে তিনিও যুক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। তা ছাড়া তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য খুনের পর দেহ বস্তাবন্দি করার পরিকল্পনা তাঁরই ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারা ছাড়াও অপহরণ, আটকে রাখা-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য শনিবার জঙ্গিপুর আদালতে হাজির করানো হয়।

Advertisement

এর আগে নাবালিকা খুনে গ্রেফতার হয়েছেন এক জন। তাঁকে জঙ্গিপুর আদালতে হাজির করানো হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্বিতীয় জনের খোঁজ মিলেছে। দ্বিতীয় জনও পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। গত ১৩ অক্টোবর ঘটনার দিন নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা এবং খুনের সময় মূল অভিযুক্তের বাড়িতে ওই ব্যবসায়ীও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর সকালে এক আত্মীয়ের বাড়ির সামনে কয়েক জনের সঙ্গে খেলতে খেলতে উধাও হয়ে যায় এক নাবালিকা। প্রায় তিন ঘণ্টা বাদে ওই এলাকারই এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু তত ক্ষণে মেয়েটি মারা গিয়েছে। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। যাঁর বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়, তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে ফরাক্কা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। পরে তিনি গ্রেফতার হন। অন্য দিকে, নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের আগে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত পেয়েছেন তদন্তকারীরা। মৃতার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তার গলার হাড়ও ভাঙা ছিল বলে জানা গিয়েছে। দুই অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement