English Bazar Death Case

স্ত্রীকে খুন করে হাসপাতাল থেকে ‘ডেঙ্গিতে মৃত্যু’র শংসাপত্র জোগাড়? হুলস্থুল ইংরেজবাজারে

পুলিশ সূত্রে খবর, শেখ চিকু এবং জান্নাতুন খাতুনের বিয়ে হয় নয় বছর আগে। চার বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে ওই দম্পতির। স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিলেন স্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:১৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল মালদহের ইংরেজবাজারে। অভিযুক্ত জামাইয়ের শাস্তি চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। অন্য দিকে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বধূর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

শনিবার রাস্তার উপর এক মহিলার দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান বাপের বাড়ির লোকজন। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায় ইংরেজবাজার থানার চণ্ডীপুর এলাকায়। মৃতার নাম জান্নাতুন খাতুন। তাঁর বাপের বাড়ির অভিযোগ, সম্পত্তির লোভে এবং নিজের পরকীয়া সম্পর্কের জন্য স্ত্রীকে খুন করেছেন শেখ চিকু। অপরাধ ঢাকতে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভুয়ো রিপোর্ট বার করে নিয়ে এসেছেন তিনি। এবং দাবি করছেন, ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে জান্নাতুনের। তাঁরা মৃতার দেহের ময়নাতদন্তের দাবি তুলে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুগলের বিয়ে হয় ৯ বছর আগে। চিকু শ্রমিকের কাজ করেন। জান্নাতুন গৃহবধূ। চার বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে দম্পতির। জান্নাতুনের বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সম্পত্তির জন্য স্ত্রীর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন চিকু। তার উপর সম্প্রতি অন্য এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান যুবক। স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন জান্নাতুন। কিন্তু তাতে তাঁর উপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

গত ১৮ জুলাই রাজস্থানের জয়পুরে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন চিকু। তার পর থেকে দম্পতির মধ্যে অশান্তি বেড়ে যায় বলে খবর। বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাদের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। প্রমাণ লোপাট করার জন্য জান্নাতুন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছে, এই মর্মে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট তৈরি করে আনেন তিনি। ময়নাতদন্ত-না করে শনিবার সকালে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল দেহ। তাতে বাধা দেন জান্নাতুনের বাপের বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা ময়নাতদন্তের দাবি তোলেন। থানায় গিয়েও ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার ভিত্তিতে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে দেহ। মালদহের জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement