দলবদলের জল্পনাকে ঘিরে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। — ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলের শক্তিতে ভাঙন ধরানোর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে কৃষ্ণনগরে। নির্দল এমনকি কংগ্রেস থেকেও একাধিক কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই রকমই অন্তত পাঁচ জন কাউন্সিলর নতুন বছরে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। কৃষ্ণনগর শহরের বাসিন্দা রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়ে অনেকেই আবেদন করেছেন। উন্নয়নের প্রশ্নে সকলেই তৃণমূলকে চাইছেন।’’ কৃষ্ণনগর শহরে জেলা তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। যার ছাপ পড়েছে পুরভোটেও। দলের মধ্যে থেকেই গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। ভোটে জিতে জেলা সদরে ক্ষমতায় ফিরলেও একাধিক ওয়ার্ড হারাতে হয়েছে শাসক দলকে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী কাউন্সিলরদের কেউ-কেউ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে খবর ছড়ানোয় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে শাসক দল। জেলা তৃণমূলের এক সময়ের দাপুটে নেতার ছেলে, যিনি বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন, পরে পুরভোটে অবশ্য নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জেতেন, তাঁর নামও রয়েছে জল্পনায়। আজ রবিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান কৃষ্ণনগর শহরে বড় করে পালন করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই এই দলবদল হতে পারে বলে জল্পনা তুঙ্গে।
দিন কয়েক আগেই কৃষ্ণনগরে দলের একটি বৈঠকে এই কাউন্সিলরদের দলে নেওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের একাংশের অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসে। সে ক্ষেত্রেও ঘরোয়া কৃষ্ণনগরে শাসক দলের অন্দরের সমীকরণ কোন চেহারা নেয়, সেটাও দেখার। এই দলবদলের জল্পনাকে ঘিরে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অসীম সাহা যেমন বলেন, ‘‘আমিও শুনছি। আমাদের টিকিটে জিতে কেউ যদি দলত্যাগ করেন তা হলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেব।’’
বিজেপির নদিয়া উত্তর সংগঠনিক জেলার মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাঁরা ভোটে জিতে ছিলেন এখন যদি তাঁরা সেই দলেই যান তা হলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করবেন। নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতাও হারাবেন। পরের ভোটে মানুষ এর জবাব দেবেন।’’