Amrita Roy

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গেলেন না অমৃতা, মন্দ-বায়ু পদ্মবনে

তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে টক্কর দিতে বিজেপি তুরুপের তাস হিসাবে তুলে ধরেছিল রাজপরিবারের সদস্য অমৃতা রায়কে।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৪ ০৮:০০
Share:

অমৃতা রায়। —ফাইল চিত্র।

আগেই জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এ বার আমন্ত্রণ পেয়েও দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গেলেন না কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী অমৃতা রায়। তাতে অস্বস্তি বেড়েছে জেলা বিজেপিতে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে না-যাওয়ার পিছনে সময়ের অভাবকে তুলে ধরেছেন অমৃতা। তিনি বলেন, ‘‘এত অল্প সময়ের মধ্যে সবটা আয়োজন করা সম্ভব নয়। যে কারণে যাওয়া হল না।’’ যদিও তাঁর না-যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রার্থী হওয়ার পর খোদ প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তার পরেও তাঁর আমন্ত্রণ রক্ষা না-করার বিষয়টি সহজ ভাবে নিচ্ছেন না বিজেপির নেতাকর্মীদের একাংশ। এ বিষয়ে অমৃতা বলেন, ‘‘দল সম্পর্কে কোনও মন্তব্য আমি করব না। আমি কোনও বিতর্কের মধ্যে যেতে চাই না।”

তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে টক্কর দিতে বিজেপি তুরুপের তাস হিসাবে তুলে ধরেছিল রাজপরিবারের সদস্য অমৃতা রায়কে। তবে জোরদার প্রচারের পরেও মহুয়ার কাছে পরাস্ত হতে হয় অমৃতাকে। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে মোদীর দফতর থেকে অমৃতা রায়কে ফোন করে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও তিনি রবিবারের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি। যা নিয়ে দলের নেতৃত্বের একটা অংশের প্রশ্ন, “অর্থ খরচ সংক্রান্ত বিতর্কের জেরে কী তিনি দূরত্ব রাখতে চাইছেন?” অমৃতার স্পষ্ট জবাব, ‘‘এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।”

Advertisement

অমৃতা রায় নতুন করে কোনও বিতর্কের মধ্যে যেতে না চাননি। তবে বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি। বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবারই তাঁর তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক। তারা কৃষ্ণনগরে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরও করেন বলে অভিযোগ। জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলছেন, ‘‘এক রাজ্য নেতৃত্বের ইন্ধনে কিসান মোর্চার লোকজন এটা করেছে। আমি দলকে সবটা বলেছি। দলও হিসাব বুঝে নেবে। তখনই বোঝা যাবে কতটা টাকা দেওয়া হয়েছিল, আর কোথায় কত টাকা খরচ হয়েছে।’’

ধুবুলিয়ার বাসিন্দা বিজেপির কিসান মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার অবশ্য বলছেন, ‘‘অর্থ সংক্রান্ত কোনও কথাই আমি বলব না। যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবেন। তবে সবাইকে নিয়ে ভোটটা করালে আমরা
জিতে যেতাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement