প্রতীকী চিত্র
ধারাল অস্ত্র দিয়ে এক যুবককে খুন করার ঘটনার এক দিন পরেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে খড়গ্রাম থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে খড়গ্রাম থানার মাড়গ্রাম বাজার থেকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত যুবকের নাম সুভাষ শেখ। ধৃত যুবককে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে কান্দি আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত চত্বরে অভিযুক্ত যুবক সুভাষ বলেন, “আমাকে রাজনৈতিক ভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি ওই খুনের ঘটনায় কোন কিছু জানি না।”
মঙ্গলবার রাতে মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির কাজে রাস্তা আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাক্কার শেখ (৩৭) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। খড়গ্রাম থানার বালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দ্রসিংহবাটী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর মৃতের পরিবারের লোকজন খড়গ্রাম থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে।
জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, “পুরোন কোনও বিবাদের জেরে ওই খুন হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সুভাষ শেখ নামে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা যাবে। ওই যুবককে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে
জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই দিন রাতে বাক্কার বাড়ি ফেরার সময় গ্রামের রাস্তায় একদল দুষ্কৃতী ওই যুবকের রাস্তা আটকায়। প্রথমে লাঠি দিয়ে আঘাত করে, তাতে বাক্কার রাস্তায় পড়ে যায়। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে ওই যুবকের মাথায়, পিঠে, হাতে, পায়ে, বুকে একাধিক জায়গায় এলোপাথারি আঘার করে। রক্তাক্ত যুবকের আর্তণাদ শুনে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজন ওই যুবককে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝ রাস্তাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ওই যুবকের পরিবারের লোকজনের দাবি ওই যুবক এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন।
মৃত যুবকের ভাই ফজলু শেখ বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার দাদাকে খুন করা হয়েছে। যাঁরা ওই খুনের সঙ্গে জড়িত আছে এমন ছয় জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” যদিও খড়গ্রাম দক্ষিণব্লক তৃণমূলের সভাপতি সমরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “এখন অনেকেই তৃণমূল করে বলে দাবি করে। ওই খুনের কারণ কী এবং যারা ওই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক।”