কাটা হয়েছে গাছ। —নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্পের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়ায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রবিবার সকাল থেকে দু’টি কাঁঠাল গাছ কাটছিল কিছু লোক। কয়েকটি গুঁড়ি ভ্যানে চাপিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ জানান। লোকজনকে আসতে দেখে গাছ কাটা বন্ধ রেখে পালিয়ে যায় তারা। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পরিমল মাঝি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে গাছ কাটাচ্ছিলেন। পরিমলের কাঠের ব্যবসা রয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পরিমল বলেন, “আমি ঘটনার সময় এলাকায় ছিলাম না। আমি একটি বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে ছিলাম। এক কর্মীর থেকে বিষয়টি জানতে পারি। ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।”
এলাকার লোকজনকে দেখে ভ্যান সমেত গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তার চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করে পুলিশ কুপার্স ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েডের চেয়ারম্যান শিবু বাইন। তিনি বলেন, “পরিমল মাঝি ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিজেপি ওর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার চেষ্টা করছে। আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি, ও কোনও মতেই ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।’’
তবে বিজেপির দাবি, বিষয়টির সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি কুপার্স শহর মণ্ডলের সভাপতি দীপক দে বলেন, “পরিমল মাঝি এর আগেও গাছ কেটে বিক্রি করেছিল। কিন্তু মানুষ ভয়ে কিছু করতে পারছিল না। এখন বিজেপি শক্তিশালী হয়ে ওঠায় মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন।” নিজস্ব চিত্র