প্রতীকী ছবি।
দলেরই নিয়ন্ত্রণে থাকা সুতি ১ ব্লকের হারোয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সাড়ে ৩ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি করলেন তৃণমূলের হারোয়া অঞ্চল সভাপতি কটা শেখ।
দলের পঞ্চায়েত প্রধান নিবেদিতা ঘোষের নাম করে দলেরই প্যাডে প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন তিনি। তবে কটা শেখের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান নিবেদিতা ঘোষ। খোদ দলীয় সভাপতির এই অভিযোগ নিয়ে অবশ্য যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। হারোয়া অঞ্চল জুড়ে এই অভিযোগের কথা ছড়িয়ে পড়ায় রীতিমত সোরগোল পড়েছে এলাকায়। কটা শেখের অভিযোগ, ২০টি খাতে ৩.৪৮ কোটি টাকা পাওয়া সত্বেও তা সঠিক ভাবে খরচ করা হয়নি হারোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। তিনি বলেন, ‘‘দলের নেতাদের অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ফল এখনও মেলেনি। দু-একবার নেতারা আমাদের নিয়ে আলোচনায় বসেছেন। কিন্তু অনিয়ম বন্ধ হয়নি। দলের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে তো ফল খারাপ হলে আমাকেই তার দায় নিতে হবে। তাই দলের নেতাদের পঞ্চায়েতে যা চলছে তা জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
হারোয়ার প্রধান তৃণমূলের নিবেদিতা ঘোষ বলছেন, “ডাহা মিথ্যে অভিযোগ। সমস্ত হিসেব পত্র অডিট হয়েছে। কোথাও কোনও বেনিয়ম বা দুর্নীতি নেই। দলের নেতারা সব জানেন। বরং সভাপতির জন্যই দলের বদনাম হচ্ছে।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলছেন, “কটা শেখের লেখা অভিযোগ আমি পেয়েছি। প্রধান ও সভাপতির সঙ্গে কথা বলব এ বিষয়ে।” জঙ্গিপুর মহকুমার তৃণমূল সভাপতি বিকাশ নন্দ বলছেন, “দলের মধ্যে থেকে এ ধরনের অভিযোগ বাইরে করা ঠিক নয়। দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চলতে দেওয়া হবে না।’’
বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সুজিত দাসের বাড়ি ওই ব্লকেই। তিনি বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে চুরি নতুন কিছু নয়। শাসক দল বলে এ সবের তদন্তও করে না প্রশাসন। এ সব বখরার ব্যাপার।’’ কংগ্রেসের সুতি ১ ব্লকের সভাপতি তারিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ যখন উঠেছে তখন সত্যতা তো আছেই। এখন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সদস্য কেনাবেচা চলছে।’’