সাংবাদিক বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
পুরসভার মোট ওয়ার্ড ২১টি। অথচ বছর খানেক আগে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্লু-টয়লেট তৈরির নামে উঠে গিয়েছে ৩৬ লক্ষ টাকা।
সোমবার দুপুরে এমন ভুতুড়ে ওয়ার্ডের হদিস মিলল ডোমকল পুরসভায়। আর সেই হদিস দিয়েছেন খোদ ডোমকল পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান। তাঁর এই দাবি ফের সামনে এনে দিল ডোমকল পুরসভার পাহাড় সমান দুর্নীতি এবং তৃণমূলের অন্দরের কলহ। বিরোধীদের দাবি, ডোমকল পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সঠিক তদন্ত হলে এমন আরও অনেক ভূতুড়ে প্রকল্প সামনে আসবে। ডোমকল সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি, ‘‘ডোমকল পুরসভার দুর্নীতির এটা নিছক হিমশৈলের চূড়া মাত্র। সঠিক তদন্ত হলে দুর্নীতির পাহাড় জমবে।’’
পুরপ্রধান জাফিকুল ইসলামের দাবি, ‘‘প্রায় বছর খানেক আগে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লু টয়লেটের নামে ৩৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা উঠে গিয়েছে বহরমপুরের ঠিকাদার টিনা রায়ের নামে। কেবল সেই নেই-ওয়ার্ডের নামে টাকাই ওঠেনি, ওই কাজের নামে যে টাকা তোলা হয়েছে তাতে সরকারি কোনও নিয়ম-কানুন মানা হয়নি। টিনা রায়ের নামে একটি প্যান কার্ডও জমা দেওয়া হয়েছে পুরসভায়। সেই ঠিকানা ধরে আমরা দফায় দফায় চিঠি করার পরেও কোনও উত্তর মেলেনি।’’ তৎকালীন পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনের আমলে কিভাবে এই টাকা ভূতুড়ে ওয়ার্ডের নামে উঠে গিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুরসভা। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনের দাবি, ‘‘যদি এমনটা হয়ে থাকে তা হলে অনাস্থার এত দিন পরে কেন এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আদতে বর্তমান পুরপ্রধান সিপিএম এবং কংগ্রেস কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুরভোটের ঠিক আগে দলের মুখে কালি লেপতে চাইছেন।’’তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলছেন, ‘‘যে ওয়ার্ডের কোনও অস্তিত্ব নেই, সেই ওয়ার্ডের নামে যদি টাকা উঠে থাকে তা হলে সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এর বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত।’’ জাফিকুলের দাবি, ‘‘দলকে ঢাল করে দুর্নীতি আড়াল করা যাবে না, মাস কয়েক আগে পুরসভার দায়িত্বে এসেছি, ওই কাজের বরাত পাওয়া নির্দিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে আমরা চিঠি দিয়েছি। এ বার আইনি ব্যবস্থা নেব।’’